বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/24935/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
অজুর ক্ষেত্রে অজুর অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে পুরো শরীর
পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক।
যদি কোনো অংশ না ভিজে, তাহলে অযু,গোসল হবেনা।
হাদিসে বর্ণিত আছে- আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের
পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন। এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে
বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা
আমাদের পা কোনোমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য
জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)
শরীয়তের বিধান হলো যদি হাতের ভিতর কোনো এমন জিনিস লেগে যায়,যেটা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে
প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তার কারনে যদি আসলেই শরীরে পানি না পৌছে,এমনটি হয়ে থাকলে অযু, গোসল হবেনা, সেই অযু বা গোসল দিয়ে নামাজ আদায় করে
থাকলে ঐ নামায গুলো আবার পড়ে নিতে হবে।
হযরত আবু তামীম জায়শানী রাহ. থেকে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. যখন অযু করতেন
আংটি নাড়াচাড়া করতেন। আবু তামীমও তা করতেন। ইবনে হুবায়রাও তা করতেন। মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১/৩৭১ (৪৫৬)
,
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/9772/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেসব
অঙ্গ অযু বা গোসলের ভিতর ধোয়া ফরজ, সেসব স্থানে ট্যাটু লাগানো হলে আর তা
সেই স্থানে পানি পৌছাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে অযু বা গোসল হবেনা। নতুবা অযু হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ডাক্তার/ত্বক বিশেষজ্ঞদের
মতামত গ্রহনযোগ্য হবে।
২. আমার যতটুকু জানা আছে যে, উক্ত ট্যাটু আধুনিক
মেশিনে মাধ্যমে উঠিয়ে ফেলা সম্ভব। তাই তা আপনি খুব দ্রুত উঠিয়ে ফেলবেন।