আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
544 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,
ব্যাংকে রাখা রাখা হারাম এটা পরিবার কে কিছুতেই বুঝাতে পারছিনা।নানা রকম যুক্তি দাঁড় করায়। আমি যতদূর জানি,সাধারণ ব্যাংক গুলো সরাসরি সুদের ঘোষনা দিয়ে টাকা নিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ দেয়  কিন্তু ইসলামি ব্যাংক প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ দেয় না। কোনো মাসে কম কোনো মাসে বেশি এবং তারা হালাল উপায়ে ব্যাবসা করে সেটার মুনাফা  দিবে এটা বলে টাকা রাখে। বাংলাদেশের ইসলামী ব্যংক গুলোতে যেভাবে টাকা দেওয়া হয় সেটা শরীয়ত বিরুধী কিনা?ইসলামি ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত মুনাফা গ্রহণ করা যাবে কিনা??  আর যদি ইসলামি ব্যাংক হালাল ভাবে ব্যবসা করে লাভ দেওয়ার কথা বলে টাকা  নেয় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা সুদের কারবার করে এজন্য কি গ্রাহককে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে নাকি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে?কেননা তারা একটা বলে আরেকটা করছে....

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/4260/  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছ যে,

আমাদের জানা মতে বাংলাদেশে কোন ব্যাংকই সঠিক পদ্ধতিতে ইসলামীক রুলস মেনে ব্যাংকিং করছে না। তাই একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংকে টাকা না রাখা ভাল। কিন্তু প্রয়োজন হওয়ার কারণে কারেন্ট একাউন্ট খোলা জায়েজ। ডিপোজিট এ জাতীয় দীর্ঘমেয়াদী কোন একাউন্ট খোলা জায়েজ হবে না।

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

তবে যেহেতু বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকগুলো ছাড়া বাকি ব্যাংকগুলো আমভাবে সুদী কারবার করে থাকে। শরয়ী বিধানের কোন তোয়াক্কাই করে না। সেই হিসেবে ইসলামী ব্যাংকগুলো শরয়ী বিধান পালনের কিছুটা হলেও চেষ্টা করে থাকে। যদিও পূর্ণাঙ্গ শরয়ী রুলস তারাও অনুসরণ করে না বলেই আমরা জানি। কিন্তুর মন্দের ভাল অবশ্যই। তাই অন্য ব্যাংকে একাউন্ট খোলার তুলনায় ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা নিরাপদ বলেই মনে হয়। বাকি আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন।

আর যদি কারেন্ট একাউন্ট খোলা সম্ভব না হয়, তাহলে বাধ্য হলে ডিপোজিট ও দীর্ঘমেয়াদী একাউন্টও জায়েজ আছে। তবে ডিভিডেন্টটি সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবে।

فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٢:١٧٣

অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং নাফরমানী ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন পাপ নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু। (সূরা বাকারা-১৭৩)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন/বোন!

ইসলামী ব্যাংকগুলো এব্যাপারে পরিপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দেয় যে, তারা সুদের ভিত্তিতে নয়; বরং লাভ-ক্ষতির ভিত্তিতে ইসলামের পূর্ণ রীতি মেনে ব্যাংকিং করে, সেহেতু তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত মুনাফা- গ্রহণ করে নিজেদের জন্য খরচ করাটা কিছু আলেম নাজায়েয মনে করেন না।

কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকগুলো ইসলামের পূর্ণ রীতি মেনে ব্যাংকিং করে কিনাএ নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ আছে। তাই তাদের সঙ্গে কোনো ধরণের মুনাফা-চুক্তি না করাটাই হল তাকওয়ার পরিচায়ক। তবে প্রয়োজনের খাতিরে একাউন্ট খোলা নিষেধ নয়। আর যে লভ্যাংশ দিবে, তা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দেওয়াটাই উত্তম হবে। কেননা الضرورات تبيح المظورات তীব্র প্রয়োজন নিষিদ্ধ বিষয়কে বৈধ করে দেয়। (শরহুল কাওয়ায়িদিল ফিক্বহ লিজ জারক্বা, কায়দা নং-২০)

এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন না করলে তাদের গুনাহ হবে এবং গ্রাহকের জন্য সন্দেহজনক মুনাফা থেকে বেঁচে থাকাই উত্তম। বরং তা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দেওয়াটাই উত্তম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
একজন কে কিছু টাকা ঘুষ দেওয়ার জন্য (এটা নিশ্চিত ছিলনা যে সে নিবে বরং যদিনেয় তাহলে দিবে ভাবা হয়েছিল)যদি আলাদা করা হয় কিন্তু পরে ঘুষ দেয়ার প্রয়োজন না হলে কি সেই আলাদা টাকা অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...