আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
256 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,

১/ মুরগীর নাড়িভুঁড়ি যদি পরিষ্কার করা হয়,( বটি দিয়ে ভেতরের ময়লা ফেলে, চেছে) তা ভাজি করে খাওয়া যাবে কি?( গরুর বটের মতো)
খাওয়া মাকরুহ হবে?

২/ স্ত্রী চায়, স্বামী কিছু অতিরিক্ত টাকা বাসায় তার হাতে দিক যাতে সে প্রয়োজনে বাজার করতে পারে। স্বামী দেয়না।

 তাই সে বাজার করে আনলে টাকা বাড়িয়ে বলেন। তা নিজের কাছে জমা রাখেন । পরে ছেলেমেয়েকে, স্বামীকে ধার দেন। তারা আবার শোধ করেন। আবার দেন। এরকম চলমান।
তবে গোপনভাবে  নিজের টাকা হিশেবেই রাখেন। স্বামী ধার দেয়ার সময় বলেন,ওমুক থেকে টাকা এনে দিসে বা আমার বোন দিসে ( আসলে মিথ্যা।তিনি জমিয়েছেন বাজার খরচ থেকে)
ক)এটা কি জায়েজ হচ্ছে?
খ) এ টাকার মালিকানা  কার?   স্বামী না স্ত্রী?
৩/ বাবা মায়ের সন্তানের ওপর হক কতটুকু?

৪/ তাদের জায়েজ প্রত্যেক কথাই কি ওয়াজিব?

৫/ সন্তান অসুস্থ, বাবা  মা খাদেমা রাখেন না, চান মেয়েই করবে সব। মেয়ে অতিরিক্ত নিতে পারেনা। অতিরিক্ত রান্না করতে গেলে পুরো গাফেল হয়ে যায়। মাকে অনেক বুঝিয়েছে যে, দিনে ১ টা টাইম রান্না করা হবে। মা মানতে নারাজ। তারা চান যখন বলবে তখনই করতে হবে রান্না। ফ্রেশ খেতে হবে। এটা করতে গেলে ইল্ম অর্জন, আমল সব এলোমেলো হয়ে যায়।
সারাদিন খালি রান্না আর খাওয়াতেই যায়।
মেয়ে করতে না চাইলে মা নিজে করেন। যেহেতু নামাজ ছাড়া বাসায় কোনো আমল হয় না।
এক্ষেত্রে বাবা মায়ের এ জায়েজ নির্দেশ কি ওয়াজিব?

৬/ বাবাময়ের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলা কি কবীরা গোনাহ?

جزاك الله خيرا كثير

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হালাল পশুর যে ৭টি অঙ্গ হারাম সেগুলো হলো-
১- প্রবাহিত রক্ত।
২- নর প্রাণীর পুং লিঙ্গ।
৩- অন্ডকোষ।
৪- মাদী প্রাণীর স্ত্রী লিঙ্গ।
৫- মাংসগ্রন্থি।
৬- মুত্রথলি।
৭- পিত্ত।

মাংসগ্রন্থি যাকে আরবীতে গুদ্দাহ বা গুদুদ বলা হয়।
প্রাণীর ঐ অংশকে মাংসগ্রন্থি বলা হল, যে অংশ
রক্ত জমাট বাঁধার ধরুণ গোস্তে গিট্ট বা টিউমারের মত কোনো অংশে পরিণত হয়, যার চতুরপার্শে চর্বি সংযুক্ত থাকে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৭/২৯৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/339

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মুরগীর নাড়িভুঁড়ি যদি পরিষ্কার করা হয়,( বটি দিয়ে ভেতরের ময়লা ফেলে, চেছে) তা ভাজি করে খাওয়া যাবে( গরুর বটের মতো) খাওয়া মাকরুহ হবে না।

(২)
স্ত্রী চায়, স্বামী কিছু অতিরিক্ত টাকা বাসায় তার হাতে দিক যাতে সে প্রয়োজনে বাজার করতে পারে। স্বামী দেয়না। তাই সে বাজার করে আনলে টাকা বাড়িয়ে বলেন। তা নিজের কাছে জমা রাখেন । পরে ছেলেমেয়েকে, স্বামীকে ধার দেন। তারা আবার শোধ করেন। আবার দেন। এরকম চলমান।
তবে গোপনভাবে  নিজের টাকা হিশেবেই রাখেন। স্বামী ধার দেয়ার সময় বলেন,ওমুক থেকে টাকা এনে দিসে বা আমার বোন দিসে ( আসলে মিথ্যা।তিনি জমিয়েছেন বাজার খরচ থেকে)
ক)এমনটা করা জায়েজ হবে না।তবে যদি উদ্দেশ্য হয়, ভবিষ্যতে স্বামীকেই বা স্বামীর পরিবারে খরচ করবে, এবং স্বামী অমিতব্যয়ী হয়, তাহলে এমনটা স্ত্রীর জন্য রুখসত থাকবে।
খ) এ টাকার সম্পূর্ণ মালিক স্বামী-ই।

৩/ বাবা মায়ের সন্তানের উপর অনেক হক রয়েছে।সন্তান সামর্থবান হলে, সন্তান বাবা মা কে দেখাশোনা করবে। তবে প্রাথমিকভাবে এই দেখাশোনার দায়িত্ব ছেলে সন্তানের উপরই থাকবে। আর মেয়ে সন্তান সামর্থবান হলে, মেয়ে সন্তানের উপরও দায়িত্ব থাকবে।

৪/ তাদের জায়েজ প্রত্যেক কথাই ওয়াজিব না।বরং এক্ষেত্রে কিছু ব্যখ্যাও রয়েছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1707

৫/ সন্তান অসুস্থ, বাবা  মা খাদেমা রাখেন না, চান মেয়েই করবে সব। মেয়ে অতিরিক্ত নিতে পারেনা। অতিরিক্ত রান্না করতে গেলে পুরো গাফেল হয়ে যায়। মাকে অনেক বুঝিয়েছে যে, দিনে ১ টা টাইম রান্না করা হবে। মা মানতে নারাজ। তারা চান যখন বলবে তখনই করতে হবে রান্না। ফ্রেশ খেতে হবে। এটা করতে গেলে ইল্ম অর্জন, আমল সব এলোমেলো হয়ে যায়।
সারাদিন খালি রান্না আর খাওয়াতেই যায়।
মেয়ে করতে না চাইলে মা নিজে করেন। যেহেতু নামাজ ছাড়া বাসায় কোনো আমল হয় না।
এক্ষেত্রে বাবা মায়ের এ জায়েজ নির্দেশ ওয়াজিব। বাবা মায়ের কথা শুনার পর যতটুকু সময় পাওয়া যাবে,ততটুকু সময় ইলম অর্জনে ব্যায় করবেন।জাযাকিল্লাহ।

৬/জ্বী, বাবা ময়ের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলা কবীরা গোনাহ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...