আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
176 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। প্লিজ হুজুর দয়া করে উত্তর দিবেন।

১. আমাদের প্রজন্মের অনেকেই তো গেমস খেলে সময় কাটায়। কম্পিউটারের কিছু গেমস আছে (যেমন gta 5) যাতে ইলুমিনাতি, freemason ইত্যাদির ছবি বা চিহ্ন থাকে যা দজ্জালের অনুসারীরা ব্যবহার করে থাকে এবং এগুলো দজ্জালের সাথে কোনো না কোনোভাবে জড়িত। এগুলো খেললে কি ঈমান চলে যাবে??

২. কিছু গেমসে জাদুটোনা থাকে, ভূত থাকে। এগুলো খেললে কি ঈমান চলে যাবে?

৩.অনেকসময় মেয়েদের চরিত্রে আমরা গেমস খেলি। এমনটি করলেও কি ঈমান যেতে পারে?

৪. কিছু গেমসের প্রতিষ্ঠান ইসলামের অবমাননা করে। এগুলো খেললেও কি ঈমান চলে যাবে? আমি শুধু একটু বিনোদনের জন্য খেলতে চাই ঈমান না হারিয়ে।

৫.ছবি আঁকলে নাকি জাহান্নামের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয় কোথায় জানি পড়েছিলাম। ছবি আঁকা কি শিরক নাকি কারণ এমন শাস্তির কথা উল্লেখ আছে???

৬.অপ্রয়োজনে ক্যামেরায় ছবি তুললে কি শিরক হবে বা কঠিন কোনো শাস্তি হবে?

৭.প্রাণীর ছবি আঁকা আছে এমন গেমস খেললে কি ঈমান চলে যাবে??

৮. ইলুমিনাতি ধরনের বিভিন্ন উপন্যাসের বই আছে। এগুলো পড়লে কি মানুষ ঈমান হারাবে???

জাযাকাল্লাহ খায়রান।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
লাহব কাকে বলে?
اللهو: ما يشغل الإنسان عما يعنيه و يهمه (مفردات القرآن للإمام الراغب)
অর্থাৎ-যে সকল বস্তু মানুষকে লক্ষণীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী থেকে অমনোযোগী করে দেয় তা হলো "লাহব"।

اللعب :لعب فلان اذا كان فعله غير قاصد به مقصدا صحيحا 
অর্থাৎ- খেলাধুলা ঐ সকল কাজ যাতে সঠিক কোন উদ্দেশ্য থাকে না।
اللغو: وهو كل سقط من قول او فعل فيدخل فيه الغناء واللهو و غير ذلك مما قاربه
অর্থাৎ- লাগু ঐ সকল অনর্থক কথাবার্তা ও কাজ-কর্ম যাতে গান-বাদ্য রং তামাশা ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। (কুরতুবি:১৩/৮০)


উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস সমূহ থেকে বুঝা গেল যে, ইসলামী শরীয়তে সময়ের প্রতি যত্নশীল হওয়া ও লক্ষস্থির জীবন গঠনের নির্দেশ হয়েছে।
খেলাধুলা ও রং তামাশা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।কিন্তু বিনোদন নয়;বরং বললে ভুল হবে না যে,যেই বিনোদনের অর্থ হলো আনন্দ ও খুশি লাভ করা। শরয়ী আনন্দ সম্ভলিত সেই বিনোদন ইসলামে কেবল অনুমোদিতই নয়;বরং এক পর্যায়ে প্রশংসনীয় ও বটে।যাতে করে শারিরিক অলসতা ও অবসাদ কেটে যায় এবং মনোবল ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় আর মানুষ প্রফুল্লতার সাথে জীবনের শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে মনোযোগী হতে পারে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/673


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
যদি গেমগুলো দজ্জালের অনুসারীরা ব্যবহার করে থাকে বা দজ্জালের সাথে কোনো না কোনোভাবে জড়িত থাকে। তাহলে এগুলো খেললে ঈমান যদিও চলে যাবে না, তবে এগুলো হারাম হিসেবেই প্রমাণিত হবে।

(২)যে সব গেমসে জাদুটোনা থাকে, ভূত থাকে, এগুলোও হারাম তবে এজন্য ঈমানে কোনো ঈমান হবে না।

(৩)মেয়েদের চরিত্রে গেমস খেলাও জায়েয হবে না। এতবে এমনটা করলে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৪) যদি কোনো গেমসের প্রতিষ্ঠান ইসলামের অবমাননা করে। এগুলো খেলা সম্পূর্ণ হারাম।তবে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। 

(৫)ছবি আঁকলে জাহান্নামের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে। তবে ছবি আঁকা শিরক নয়। 

(৬)অপ্রয়োজনে ক্যামেরায় ছবি তুলাও হারাম।তবে  শিরক হবে না।

(৭)প্রাণীর ছবি আঁকা আছে এমন গেমস খেলা হারাম,তবে ঈমানে কোনো সমস্যা নাই।

(৮) ইলুমিনাতি ধরনের বিভিন্ন উপন্যাসের বই আছে। এগুলো পড়াও হারাম। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...