আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম,
১. আমি ইসলামের বুঝ আসার পরে নামাজ কখনো কাজা করি নি সব সময় সময়মতো সালাত আদায় করেছি।  কিন্তু বিগত কয়েকমাস থেকে আমার সালাতে অনেক অনীহা আসে।  আমি সালাতের নিয়তে ওযু করে এসেও সালাতের কথা ভুলে যাই কিন্তু কাযা  হয় নি আলহামদুলিল্লাহ। এখন ৩/৪ দিন থেকে একদম শেষ সময় সালাত আদায় করা হচ্ছে। আমি নিয়মিত সকাল সন্ধ্যার মুনসুন দুআ গুলা পড়ি ঐটাও ইদানিং ভুলে যাচ্ছি পড়তে। আমি যদি বাহিরে থাকি তখন আমার সালাতে কোনো দেরি হবে না যত জরুরি কাজ থাকে আমার সালাত ঠিক মতোই খুশুখুজু রেখে পড়তে পারি।দেখা গেলো বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছি আমি ঠিক সুন্দর মতো সালাতের ব্যবস্থা করে নিতে পারছি।  সালাত মিস হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না. অথচ   বাসায় আমি ভুলে যাই এখন সালাত পড়তে হবে।  শেষ সময় মনে আসে সালাত পড়া হয় নি বা অনেক ঘুম চলে আসে সালাত পড়তে গেলে।  আমি আমার নামাজ ঠিক মতো না পড়ার কারণে অনেক বিষন্নতায় ভুগি নিজেকে অনেক হীন মনে হয় এজন্য কোনো কাজ ঠিক মতো করতে পারি না।
২. আমার মা আমাদের বাসায় থাকলে কিছু দিন পর পর অসুস্থ হয়ে পড়েন।  ডাক্তার অনেক দেখানো হয়েছে উনার কোনো বিশেষ রোগ ধরা পরে নি।  আমার মা বাসা থেকে কোথাও বেড়াতে গেলে দিব্যি সুস্থ থাকেন চেহারা ঠিক থাকে।  কিন্তু বাসায় আসলেই উনার চেহারায় কালচে ভাব আসে আর বিছানায় লেগে যান।  আমার আম্মু ও সকাল সন্ধ্যার মুনসুন দোআ রেগুলার পড়েন, উনি নামাজ সময়মতো পড়েন।  উনি প্রায় রাতে উনার ঘরে কিছু একটা দেখে চিৎকার করে উঠেন। অনেক বিশ্রী দেখতে কিছু ঘরের কোনায় দাঁড়িয়ে আছে মনে হয়, মাঝে মাঝে আমার বাবার চেহারাটাই  সেই বিশ্রী জিনিসটার মতো দেখায় আবার মনে হয় উনার পাশে জিনিষটা দাঁড়িয়ে আছে. প্রায় সময় উনি ঘরে ভয় পান।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই জিনিষটা শুধু আমার আর আমার মায়ের সাথে কেন হচ্ছে ? আমার পরিবারে আমি আর আমার মা শুধু ইসলাম মেনে চলার সর্বাত্মক চেষ্টা করি। আমার বাবা বেদ্বীন , উনি পরকীয়াতেও  যুক্ত, উনার ইনকাম  বেশিরভাগ হালাল না।  উনি যার সাথে পরকীয়া করেন সে হিন্দু অঘোরী দের থেকে কালোজাদু করে।  এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে সেই মহিলা কিছু করেছে কিনা, আর আমার বাবা আমাদেরকে সহ করতে পারেন না, খুব খোঁচা মেরে কথা বলেন।
আমি শুনেছিলাম যারা নামাজ ঠিক মতো পরে আর সকাল সন্ধ্যার মুনসুন দুআ পরে তাদের উপর জাদুটোনা কাজ করে না।  কিন্তু আমি বাসায় থাকলে প্রচুর ঘুম আসে , ইবাদাতে শান্তি পাই না।  আমার মা ও বাসায় থাকলে সাক্ষন অস্থির থাকেন।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আ'মলের উন্নতি ও স্বাদ উপভোগের জন্য একজন দ্বীনদার মানুষের সংস্পর্শ গ্রহণ করতে হবে।অনেক অনেক ইসলামি ইতিহাস ও ঘটনাবলী পড়তে হবে।

(২)
সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো।(এলাজে কুরআনী-০৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে ও জাদু করা হয়েছিলো।নামায রোযা করার পর কেউ জাদুতে আক্রান্ত হতে পারে। এই জাদু থেকে বাঁচার জন্য আ'মল ও দু'আর মাধ্যমে সর্বাত্বক চেষ্টা প্রচেষ্টা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...