আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (91 points)
edited by
১. আমার বাবাকে দেখতাম আগে আগে মাঝেমধ্যে মানুষের হাত দেখে বিভিন্ন জিনিস বলতেন, উনার কাছে একটা বই ছিলে হয়তো এটা দেখে শিখেছিলেন,  আত্মীরা আসলে বলতে দেখার জন্য,  তিনি দেখতেন।এগুলো তিনি বিশ্বাস করতেন না আন্তাজে আন্তাজে বলতেন বা উনার আকীদা বিশ্বাস কি ছিলো জানিনা, আমার মনে হয় আন্তাজে আন্তাজে বলতেন, অনেক গুলো মিলে যেতো। কারণ,যতেটুক মনে ওয় উনাকে যারা এইসব করে তারা যে আন্তাজ করে  করে বলে তা নিয়ে মজা করতে দেখেছি। এইসবের এড টিভিতে দিলেও এদের নিয়ে হাসতেন, আবার নিজেই করতেন। পাথর ও ছিলো কিছু, তবে কখনো টাকা নিতেন না, এই আত্মীয়রা এলে নিজে থেকেই বলতে তখন দেখতেন, আর কখনো আংটি ইউজের কথা বলতেন। নিজে একটা পাথর পরতেন, বলতেন এটা দেখলে মানুষ ভয় পায়।
এখন উনাকে আর এসব করতে দেখি না অনেক  বছর হলো, তো উনার এই কাজ কি কুফরি হয়েছে?

২. যারা পথে ঘাটে টিয়া, বানর ইত্যাদি দিশে মানুষের ভাগ্য গণনার কাজ করে বলে দাবী করে, এদের কি কাফের বলা যায়?

৩. অনেক আগে আমার বাবা একবার বলেছিলেন যে পুরুষের স্বর্ন থাকলে তা দ্বারা যদি জাকাত আসে, তবে তার ওজনের সমান সোনা দিতে হবে। অনেক আগে বলেছিলেন মনে নাই সঠিক বাক্য টি, বুঝ হওয়ার পর দেখছি এই ধরনের কথা তো কখনোই শুনি নাই্। উনি কোথা থেকে জেনেছেন। জানি না। উনার এই ধরনের কথায় কি ইমানে সমস্যা হবে?

৪. সর্বোপরি উপরের বিষয় গুলো নিয়ে কি করনীয় আমার? এগুলো এখন বলতে /করতে দেখি না,আগে আগে করতেন বলতেন। এখন এতে আগের কথা তুলে  কি কিভাবে বলবো বুঝতেছি না,করনীয় কি পরামর্শ দিবেন।

৫. অনেক সময় দেখা যায় কোনো কোনো প্রতিষ্টান ইসলামী নাম ইউজ করে অসত বা দুই নাম্বারি কাজ করে, যেমন ঃ বিসমিল্লাহ গ্রুপ। এদের এই ধর্মীয় নাম ব্যবহার করে খারাপ কাজ করা নিয়ে কেও যদি হাসাহাসি করে,আর বলে যে, এরকম নাম যেখানো দেখবায় বুঝবায় সমস্যা আছে(এই লাইন বলেছলো  কিনা পরিষ্কার মনে নাই, তবে এদের এই কাজ নিয়ে হেসেছিলো) তাহলে কি ইমানে সমস্যা হবে?

৬. মনে মনে জিহারের কল্পনা করলে বা জিহারের বাক্য বউকে বলছে এমন সিন কল্পনা করলে কি জওহার হবে?অর্থাত মনে মনে জিহার হয়?

৭. একটা আদিবাসী জাতিকে নিয়ে মুভি তৈরি হয় যারা মানুষকে দেখে তাদের দেবতা মনে করতো, মানুষের কর্মকান্ড  দেখে তারা ভেবেছিলো তাদের দেবতা পাগল, মুভির নাম ছিলো " গড মাস্ট বি ক্রেজি"।  আমি অনেক আগে মুভিটি দেখেছি এর নাম লিখে সার্চ করেছি গুগলে। হয়তো মুখেও উচ্চারণ করেছি। এতে কি আমার ইমানে সমস্যা হবে? অনেকেতো আল্লাহ কেও গড বলে, কিন্তু আমার আল্লাহর কথা উদ্দেশ্যে ছিলো না।

৮. "ঐশ্বরিক হাসিতামাশা" নামের কেনো বই এর নাম মুখে নিলে কি ইমানে সমস্যা হবে?

(এডিট করে যুক্ত করার জন্য ক্ষমা চাই)

জাজাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


গণকের কাছে গিয়ে তাকে ভবিষ্যত সংক্রান্ত কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করা এবং তার কথায় বিশ্বাস করা। এটা আল্লাহর সাথে কুফুরী করার অন্তর্ভুক্ত। কারণ, সে ইলমে গায়েবের দাবীতে গণককে বিশ্বাস করেছে। মানুষ ইলমে গায়েব জানে বলে বিশ্বাস করলে আল্লাহর কথাকে অবিশ্বাস করা হবে। 

আল্লাহ তায়ালা বলেন,
﴿قُل لَّا يَعۡلَمُ مَن فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ ٱلۡغَيۡبَ إِلَّا ٱللَّهُۚ﴾ [النمل: ٦٥]
“বলুন, আকাশ এবং জমিনে আল্লাহ ছাড়া গায়েবের সংবাদ অন্য কেউ জানে না।” [সূরা আন-নামল, আয়াত: ৬৫]

সহীহ হাদীসে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ أَتَى كَاهِنًا فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»

“যে ব্যক্তি কোনো গণকের নিকট গমন করে তার কথায় বিশ্বাস করল, সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর অবতীর্ণ বিষয় (কুরআন ও সুন্নাহ)-এর সাথে কুফুরী করল।”
(তিরমিযী, অধ্যায়: কিতাবুত তাহারাহ।)

এ ধরণের মানুষ তাওবা না করে মারা গেলে কুফুরী অবস্থায় তার মৃত্যু হবে।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
তার কাজটি কুফরি, তবে সে যেহেতু এগুলোকে বিশ্বাস করতোনা,আকীদা বিশুদ্ধ রেখেই এগুলো করতো,তাই তাকে কাফের বলা হবেনা।

(০২)
এরা যদি এগুলোতে বিশ্বাস রাখে,তাহলে তারা কাফের হয়ে যাবে।

(০৩)
তার এ ধরনের কথায় ঈমানের সমস্যা হবেনা। 

(০৪)
এহেন কাজ করা ছেড়ে দিয়ে তাদেরকে তওবার পরামর্শ দিতে হবে।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৬)
মনে মনে যিহার হয়না।

(০৭)
এতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা। 

(০৮)
এরকম কোনো বই এর নাম শুধু মুখে নেয়ার দ্বারা ঈমানের সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...