আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
১.জায়গা জমি আমিন দিয়ে ভাগ করার আগে যদি কোনো ব্যক্তি অন্যের জমিতে গাছ লাগায়(সে মনে করেছিলো এই জমিটুকু তার জমির মধ্যে পড়ছে তখন জমি আমিন দিয়ে ভাগ করা হয়েছিলো না) এবং অনেক বছর পর যখন দুই পক্ষ আবার আমিন ডেকে জমির সীমানা মাপ দেয় তখন দেখা গেলো গাচগুলো অন্য পক্ষের সিমানায় চলে গেছে।এখন যে গাছ লাগিয়ে সে কি ঐ গাছের বা গাছের ফলের উপর আর মালিকানা থাকবে??

২.কোনো লোক যদি তার স্ত্রীকে বলে যেসব কাজ করলে ইমান চলে যায় সেগুলো যদি তুমি করো তাহলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবা।এখন যদি সেই স্ত্রী যদি এমন কাজ করে ফেলে যেগুলো ইমান চলে যাওয়ার মতো তবে তার ওজর বিন জাহালাতও ছিলো যেমন সে কোনো অমুসলিমকে পরিচয় না জেনে মুসলিম বলে ফেললো বা হারাম না জেনে সেটাকে হালাল মনে করলো বা অনিচ্ছায় না বুঝে মুখ থেকে হঠাৎ করে কোনো শিরকি কথা বলে ফেললো।এগুলো যদি না জেনে বুঝে করে তাহলে কি স্বামীর উক্ত শর্তানুযায়ী স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবে??যদিও গ্রহণযোগ্য উজর বিন জাহালাত থাকলে ইমান চলে যায় না। তবে স্বামীর এ শর্তের ক্ষেত্রে কি বিধান আসবে??

৩.স্বামী যদি বলে তুমি যদি অমুক কাজ করো তাহলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবা।পরে স্বামীকে জিজ্ঞেস করলে সে যদি বলে তার একথা দ্বারা তার পক্ষ থেকে তালাকের কোনো নিয়ত ছিলো না বরং তার নিয়ত ছিলো ইসলামী শর্ত পূরণ করলে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হবো।তার এ নিয়ত দ্বারা কি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবা অর্থ তালাকের নিয়ত ধরা হবে।

1 Answer

0 votes
by (565,380 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।

(আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।)

https://ifatwa.info/57281/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
কেহ যদি অন্যের জায়গায় অনুমতি ছাড়া গাছ লাগায়,তাহলে এক্ষেত্রে সেই জায়গার মালিকের অধিকার আছে,তার জায়গায় গাছ লাগানোর কারনে গাছের মালিক থেকে ভাড়া নেয়ার।
অথবা জায়গার মালিক চাইলে বলতে পারবে যে আপনি আপনার গাছ কেটে নিয়ে যান,অথবা গাছটি আমার কাছে বিক্রয় করুন।

অথবা তারা পরস্পরে সম্মতিতে গাছ/লতাপাতার ফল খাওয়ার চুক্তি করতে পারে।
সেক্ষেত্রে জায়গার মালিক হিসেবে আপনাদের জন্য ফল খাওয়া জায়েজ হবে। 

যদি কোনো কিছুতেই গাছের মালিক উপরোক্ত কোনো বিষয়ের উপর রাজি না হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত জায়গার মালিকের জন্য অনুমতি রয়েছে সে যে গাছের গোড়া সহ কেটে তাহা গাছে মালিককে ফেরত দিবে।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-

"(ومن بنى أو غرس في أرض غيره بغير إذنه أمر بالقلع والرد) لو قيمة الساحة أكثر كما مر (وللمالك أن يضمن له قيمة بناء أو شجر أمر بقلعه)
(قوله بغير إذنه) فلو بإذنه فالبناء لرب الدار، ويرجع عليه بما أنفق جامع الفصولين من أحكام العمارة في ملك الغير". (6/194، کتاب الغصب، ط؛ سعید)
সারমর্মঃ-
কেহ যদি অন্যের ভূমিতে অনুমতি ছাড়া ঘর নির্মান করে,অথবা গাছ লাগায়,তাহলে তাহা কেটে ফেলার আদেশ দেয়া হবে।
অথবা মূল্য দিয়ে সেটা নিজ মালিকানাতেও নিতে পারবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যে ব্যাক্তি গাছ লাগিয়েছে, তার ঐ গাছের বা গাছের ফলের উপর মালিকানা থাকবে।

তবে যার জায়গা,তার জন্য অধিকার রয়েছে,সে চাইলে গাছের মালিককে বলতে পারবে যে আপনি আপনার গাছ কেটে নিয়ে যান,অথবা গাছটি আমার কাছে বিক্রয় করুন।
অথবা জায়গার মালিক চাইলে তারা পরস্পরে সম্মতিতে গাছ/লতাপাতার ফল খাওয়ার চুক্তি করতে পারে।

যদি কোনো কিছুতেই গাছের মালিক উপরোক্ত কোনো বিষয়ের উপর রাজি না হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত জায়গার মালিকের জন্য অনুমতি রয়েছে যে সে চাইলে গাছের গোড়া সহ কেটে তাহা গাছের মালিককে ফেরত দিবে।

আর যদি উক্ত গাছ এই জায়গায় থাকার কারনে জায়গার মালিক উপরোক্ত  কিছুই না বলে,তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে স্বামীর উক্ত শর্তানুযায়ী স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে বুঝা যাচ্ছে যে উক্ত কথা বলার সময় স্বামীর "সম্পর্ক ছিন্ন" এ ধরনের নিয়ত ছিলো,তাই তার এ নিয়ত দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবা অর্থ তালাকের নিয়ত ধরা হবে


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...