ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আপনাদের উচিৎ ছিল এভাবে বিয়ে না করা। বরং মাতাপিতাকে প্রথমে অবগত করে তাদেরকে বিয়ের আয়োজন করতে বলা। তারপর তারা যদি বিয়ের দিকে অগ্রসর না হন, তাদের লোকদের দ্বারা বুঝানো। যাই হোক, যেহেতু বিয়ে করেই নিয়েছেন, তাই বিয়ে শুদ্ধ হয়েছে।মাতাপিতাকে মানানোর আপ্রাণ চেষ্টা করুন।এবং অতিদ্রুত প্রকাশ্যে বিয়ের ব্যবস্থা করুন। কেননা শুধুমাত্র জৈবিক চাহিদা পূরণ বিয়ের উদ্দেশ্য নয়।বরং নবীর উম্মত বৃদ্ধিও এর উল্লেখযোগ্য ও বড় একটি উদ্দেশ্য। সুতরাং এভাবে লুকিয়ে দেখা করা,কথা বলা কখনো উচিৎ হবে না।এভাবে লুকানো বিয়ের প্রচলন ইতিপূর্বে কখনো ছিলনা। এবং লুকানো বিয়েকে মানানোর নির্দিষ্ট কোনো আ'মল নেই। এভাবে লোকানো বিয়েকে অনেকে গোপন ব্যভিচারের অন্তর্ভুক্ত করে থাকেন।একজন ঈমানদারের জন্য এভাবে লুকানো বিয়ে কখনো কাম্য হতে পারেনা।
(২)
স্ত্রী ঘরে থাকবে।সে যখন বাহিরে যাবে,তখন সে হয়তো স্ত্রীর মত বের হবে,নতুবা মায়ের মত বের হবে।আপনার সাথে সে কোনো পরিবেশে বের হবে।নিশ্চয় প্রেমিকার মত বের হবে।সুতরাং এভাবে বের হওয়ার বা না হওয়ার চিন্তা না করে বরং বিয়েকে প্রকাশ করার কথা চিন্তা করুন।
(৩)
দৈনিক মাগরিবের পর সূরায়ে ওয়াকেয়া পড়ুন।
(৪)হাজতের নামাজে সিজদাতে বাংলায় দোয়া করা যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/185
(৫)ওয়াক্তের সুন্নাত নামাজ না পড়ে হাজত ও তাহাজ্জুত পড়া যাবে না। বরং ওয়াক্তের সুন্নত নামাযকেই পড়তে হবে।