আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
241 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
edited by
প্রশ্নের বিবরণ মতে স্বামী তার স্ত্রীকে বলেছে,তুমি ডিভোর্স দিয়ে দিও।

এটি যেহেতু শর্তহীন ছিলো,মজলিস বা দিন নির্দিষ্ট ছিলোনা,তাই এতে স্ত্রী আজীবনের জন্য এক তালাকের ক্ষমতা পাবে।

1.akhon wife jodi 3 er odhik bar talak howar moto kisu bole taile ak talak e pabe??

2.husbad jodi koyekbar oidoroner onumoti dewa kotha niyot sara bole taile ki wife  bar bar ak talaker odhikar pabe..avabe ki 3 talak pura hoiya jabe?

3.husband k nioyter kotha jigges korai se jodi gotona mone korar jonno..mukhe boila mone korar chesta kore j se bolsilo naki...jemon saira dilam talak dilam adob kotha...taile ki notun koira talak potito hobe.

4.kew ahle hadis onusari hoile tara to wife k avabe mukhe odhikar dewa mane na...tara shudu direct quran sunnah mane?islame shudhu khola korar onumoti dewa hoise tara ata mane...tader jonno ki talake tawfiz na manle gunah hobe..r tara ki quran sunnah onujayi songsar korte parbe?

5.thakbona mane or kase thakbo na,songsar korbona mane or sathe songsar korbona na jabo ga mane babar bari choila jabo somporko nai mane or sathe amr sob somporko ses..agula mone asse...ami kokhono nijer upor talak nilam ai niyote kisu boli nai..taile talak hobe?

6.2 month jabot waswasar rogi...amr khali mathai ase talak nilam..mukheo hoito bolsi taile ki talak hoiya gese?

7.baba mar sathe jodi boli amr talak hoiya gese taile ki notun koira talak potito hobe?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
স্বামী যেহেতু এক তালাকের ক্ষমতা দিয়েছিলো,তাই স্ত্রী তিন বা অধিক তালাকের মতো কথা বললেও এক তালাকই হবে।

(তবে স্ত্রীকে তালাকের উক্ত অধিকার দেয়ার সময় স্বামী যদি স্পষ্ট আকারে তিন তালাকের অধিকার দেয়ার কথা উল্লেখ কর থাকে,তাহলে প্রশ্নের বিবরণ মতে তিন তালাক হবে।)

(০২)
না,এক্ষেত্রেও স্ত্রী এক তালাকেরই অধিকার পাবে। 

(০৩)
সে যদি আসলেই আগে এসব কথা বলে থাকে,তাহলে তো এসব কথা বলার দরুন আগেই তালাক পতিত হয়ে যাবে।

আর যদি সত্যিই সে আগে এসব কথা না বলে,সেক্ষেত্রে প্রশ্নের বিবরণ মতে এভাবে উচ্চারণ করায় তালাক হবেনা।

(০৪)
তালাকে তাফবিজের বিধান না মানলে অবশ্যই সমস্যা হবে।
এভাবে তাদের কেহ যদি নিজ স্ত্রীকে স্পষ্ট আকারে তালাকের ক্ষমতা দেয়,আর সেই স্ত্রী সেই ক্ষমতাবলে নিজেকে নিজে তালাক দেয়,তাহলে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার আগ পর্যন্ত তারা কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী সংসার করতে পারবেনা।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০৬)
না,এতে তালাক নেয়া হয়নি।

(০৭)
এতে নতুন করে তালাক পতিত হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...