আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
কয়েকমাস আগে আমার ভাগ্নীর মোবাইলে আকদ হয়েছিল। ছেলে সৌদিতে থাকে। আকদের সময় ছেলে উকিল নির্ধারণ না করে মোবাইলে ভিডিও কলে এসেছিলো। তখন নেটে সমস্যা করায় সবাইকে মসজিদে রেখে যার হাতে মোবাইল ছিল সে সহ আরো ১/২ জন বাহিরে গিয়ে ছেলের প্রস্তাব শুনেছিল। অর্থাৎ ছেলের কথাগুলো স্বাক্ষীরা শুনেনি। ছেলে এখন দেশে এসেছে। মেয়েকে তুলে নিবে। এখন আমার এই নিয়ে খুব খটকা লাগতেছে যে, আসলে বিয়েটা শুদ্ধ হয়েছে কিনা।

১. বিয়েটা শুদ্ধ হয়েছে?

২. শুদ্ধ না হলে এতদিন যে মোবাইলে কথা বলেছে এর জন্য গুনাহ হবে?

৩. বিয়ে শুদ্ধ হোক বা না হোক, মেয়েকে তুলে নেওয়ার দিন সন্দেহ দূর করার জন্য আবার আকদ পড়ানো যাবে?

(জরুরি জানতে চাই)
closed

1 Answer

0 votes
by (58,470 points)
selected by
 
Best answer

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ
https://ifatwa.info/36655/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
১.বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।
২.উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।
قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।
 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
৩. ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে টেলিফোনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করা জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায় উসমানী-২/৩০৪,৩০৫}

বিস্তারিত জানুনঃ  

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহ সহীহ হয়নি। এখন দ্রুত শরীয়াহ মোতাবেক উপরোক্ত পদ্ধতিতে বিবাহ পড়ে নিতে হবে। কারণ, ছেলের জন্য আবশ্যক ছিল উকিল নিযুক্ত করা।  আর সে তা না করে নিজই ইজাব করেছে। বিধায় তাদের বিয়ে সহিহ হয়নি।
২. এতদিন পরস্পরে কথা বলার কারণে তাদের গুনাহ হয়েছে। সুতরাং তাদেরকে উক্ত গুনাহ থেকে পরিপূর্ণরুপে তওবা করতে হবে।
৩.অবশ্যই তাদেরকে পুনরায় সুন্নত তরীকায় আকদ করতেই হবে। অন্যথায় ছেলে মেয়েকে তুলে নিতে পারবে না।

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...