জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
নফল রোযা রাখার পর সেটি ভেঙ্গে ফেললে সেটির কাজা ওয়াজিব।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
ولا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ} [محمد: 33]
তোমরা তোমাদের আমলকে বাতিল করিওনা।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَوْفُوا بِالْعُقُودِ} [المائدة: 1]
হে ইমানদারগন তোমরা তোমাদের ওয়াদা,চুক্তি সঠিকভাবে সম্পাদন করো,পূরন করো।
يجب القضاء على من قطع النفل – عند الحنفية – سواء أفسده باختياره أو بغير اختياره بأن شرع في صلاة النفل بالتيمم ناسياً الماء في رحله ثم وجده كأن تذكره خلال الصلاة، أو شرع في صوم النفل فصب الماء في حلقه في النوم وجب عليه القضاء وإن لم يوجد منه الإفساد
আবু হানিফা রহঃ এর মাযহাবের বিস্তারিত হলো নফল ইবাদত শুরু করার পর ইচ্ছাপূর্বক হোক আর অনিচ্ছায় তাহা নষ্ট করার দ্বারা সেটা আবার আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
এটি নামাজ রোযা সব ক্ষেত্রেই,,,,,
আরো জানুনঃ-
নফল আর কাজা রোযার এক সাথে নিয়ত করা যায়না।
وَمَتَى نَوَى شَيْئَيْنِ مُخْتَلِفَيْنِ مُتَسَاوِيَيْنِ فِي الْوَكَادَةِ وَالْفَرِيضَةِ، وَلَا رُجْحَانَ لِأَحَدِهِمَا عَلَى الْآخَرِ بَطَلَا، وَمَتَى تَرَجَّحَ أَحَدُهُمَا عَلَى الْآخَرِ ثَبَتَ الرَّاجِحُ كَذَا فِي مُحِيطِ السَّرَخْسِيِّ.الخ وَإِذَا نَوَى قَضَاءَ بَعْضِ رَمَضَانَ، وَالتَّطَوُّعُ يَقَعُ عَنْ رَمَضَانَ فِي قَوْلِ أَبِي يُوسُفَ – رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى -، وَهُوَ رِوَايَةٌ عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ – رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى – كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ.
(الفتاوى الهندية، كِتَابُ الصَّوْمِ وَفِيهِ سَبْعَةُ أَبْوَابٍ، الْبَابُ الْأَوَّلُ فِي تَعْرِيفِهِ وَتَقْسِيمِهِ وَسَبَبِهِ وَوَقْتِهِ وَشَرْطِهِ-1/196-197
সারমর্মঃ
যদি দুটি আলাদা প্রকারের রোযা রাখার নিয়ত করে,তাহলে উভয় রোযাই বাতিল হবে,,,,,,,।
যদি রমজানের কাজা রোযার নিয়ত করে,সাথে সাথে নফল রোযারও নিয়ত করে,তাহলে আবু হানিফা রহঃ এর এক মত অনুযায়ী রমজানের রোযাই আদায় হবে।
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার উপর যদি কোনো ভেঙ্গে যাওয়া রোযা থাকে,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সোমবার আর বৃহস্পতিবার রোযা রাখার ছুরতে আপনি যদি নফল ও ভেঙ্গে যাওয়া রোযার উভয়েরই নিয়ত করেন,তাহলে শুধু ভেঙ্গে যাওয়া রোযার কাজা আদায় হবে।
নফল রোযা আদায় হবেনা।