حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا سِمَاكٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ اغْتَسَلَ بَعْضُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فِي جَفْنَةٍ فَجَاءَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم لِيَتَوَضَّأَ مِنْهَا - أَوْ يَغْتَسِلَ - فَقَالَتْ لَهُ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنِّي كُنْتُ جُنُبًا . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْمَاءَ لَا يُجْنُبُ " . - صحيح
‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন এক স্ত্রী বড় একটি পাত্র থেকে পানি তুলে গোসল করেন। এমন সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশিষ্ট পানি দ্বারা অযু অথবা গোসল করতে আসলেন। স্ত্রী বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি তো জুনুবী ছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, পানি অপবিত্র হয় না।
তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হাঃ ৬৫, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ নারীর ব্যবহৃত পানি দিয়ে উযু করার অনুমতি প্রসঙ্গে, হাঃ ৩৭০), হাকিম (১/১৫৯)।
★শরীয়তের বিধান হলো, ব্যবহৃত পানি বলা হয় এমন পানিকে, যা ‘হাদাস’ (অপবিত্রতা দূর করা বা সওয়াব অর্জনের জন্য অজু ও গোসলে ব্যবহৃত হয়েছে।
ব্যবহার কারীর শরীর থেকে আলাদা হওয়ার পর সেই পানি ব্যবহৃত পানি বলে গণ্য হবে।
ব্যবহারিত পানি দ্বারা অযু করলে পবিত্রতা হাসিল হবেনা।
আরো জানুনঃ-
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে আপনি অযুর মধ্যে ""তিনবার কবজি পর্যন্ত পানির মগে হাত ডুবিয়েছেন। যেন সব অংশে পানি সম্পূর্ণ পৌঁছায়।""
সুতরাং এই পানি ব্যবহারিত পানি হয়ে গিয়েছে।
এখন মগে থাকা অবশিষ্ট পানি দিয়েই যদি আপনি অযুর বাকি কাজ সম্পন্ন করেন,তাহলে আপনার অযু হবেনা।
হ্যাঁ, যদি আপনি অযুর পরবর্তী অঙ্গ গুলি নতুন পানিতে ধৌত করেন,সেক্ষেত্রে আপনার অযু হয়ে যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ