জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
মোহরানা স্ত্রীর অধিকার।
স্বামীকে তাহা আদায় করতেই হবে।
যেই মোহরানা নগদ ধার্য করা হবে,সেটি পরিশোধ করার আগ পর্যন্ত স্ত্রী চাইলে স্বামীকে সহবাস হতে বাধা প্রদান করতে পারবে।
তবে একবার সুযোগ দিলে পরবর্তীতে আর বাধা প্রদান করতে পারবেনা।
স্বামী দেনমোহর আদায় না করলে তা ঋণ হিসেবে তার জিম্মায় বাকি থেকে যাবে।
স্ত্রী যদি উক্ত দেনমোহর মাফ না করে, আর স্বামীও তা পরিশোধ না করে, তাহলে কিয়ামতের ময়দানে স্বামীর অপরাধী সাব্যস্ত হবে। তাই দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করে দেয়া জরুরী।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ [٥:٥]
তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর। [সূরা মায়িদা-৫]
وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ أَن تَنكِحُوهُنَّ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ [٦٠:١٠]
তোমরা, এই নারীদেরকে প্রাপ্য মোহরানা দিয়ে বিবাহ করলে তোমাদের অপরাধ হবে না। [সূরা মুমতাহিনা-১০]
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বিয়েতে দেনমোহর বা মোহরানা দেয়া ওয়াজিব। তবে দেনমোহর বা মোহরানা না দিলে সেই বিয়ে বাতিল হয়ে যাবেনা।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের বিবাহের কোনো ক্ষতি হয়নি।
বিবাহ শুদ্ধ আছে।
আপনাকে এখন নগদ আড়াই লক্ষ টাকা বা সমপরিমাণ কিছু দিতে হবে।
নতুবা স্ত্রীকে ঠোকানো ও ধোকা দেয়া হবে।
,
হ্যাঁ যদি স্ত্রী আপনাকে নিজ থেকেই সন্তুষ্টি চিত্তে দেড়িতে দেয়ার জন্য সুযোগ দেয়,তাহলে দেড়িতে দিতে পারবেন।
আপনার স্ত্রী আপনার থেকে পুরো ৫ লক্ষ টাকা পাবে।