আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
187 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)

আসসালামু আলাইকুম হুজুর আমি একজন ছাএ আমি কয়েক মাস আগে দিনের পথে ফিরে এসেছি।আমি দ্বিনের পথে চলতে চাই।আমি কয়েক মাস আগে খারাপ কাজে জরিয়ে পরেছিলাম। তারপর আমি তওবা করে ফিরে আসি। আমি বিয়ে করতে চাই যাতে আমার দ্বারা কোন গুনাহ না হয়।আমি একটি বিশ্ব বিদ্যালয়ে পরা শুনা করতেছি। কিন্তু আমার পরিবার রাজিনা।  আমি আমার পরিবারের অমতে বিয়ে করতে চাই একটা ঘটনা সাজিয়ে যাতে আমার চরিত্র হেফাজত করতে পারি আমি চাই যে আমি যে এলাকাই থাকি সে এলাকার কিছু নেতাদের টাকা দিয়ে একটি নাটক সাজিয়ে বিয়ে  করতে। সেখানে আমি নেতাদের কে কিছু টাকা দিয়ে এমান নাটক সাজতে বলব যে যাতে মানে হয় তারা আমাকে জোর করে বিয়ে করিয়েছে। যাতে আমার উপর আমার পরি বারের কোন চাপ না আসে। আমি বিয়ের মেয়েকে তলাক ও দিবনা যদি আমার পরিবার বলে।  আমি এভাবে বিয়ে করলে কি কোন গোনাহ হবে। আমি এটাকে চলাকি করে করতে চাচ্ছি লাম। যাতপ আমার উপর এবং আমার স্ত্রী র উপর কোন চাপ না আসে। আমি কোন একটা ইসলামিক মেয়েকে ওই নেতাদের মাধ্যমে মেয়ের পরিবার  কে রাজি করিয়ে বিয়ে করতে চাচ্ছিলাম।  আমার এরকম করা কি উচিত হবে। অথবা করলে কি কেন গুনা হবে। আমি শুধু পরামর্শ চাচ্ছিলাম হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পাওয়া গেলে এই বিবাহ শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে  শুদ্ধ হয়ে যাবে।

তবে এভাবে নেতাদের টাকা দিয়ে নাটক সাজিয়ে বিবাহ করাতে যদিও বিবাহ হয়ে যাবে।
তবে বিবাহের এহেন পদ্ধতি অবলম্বন শরীয়ত সাপোর্ট করেনা।

এতে আপনাকে অনেক মিথ্যা ও ধোকার আশ্রয় নিতে হবে,তাই আপনার গুনাহ হবে।
তবে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...