জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআন মাজীদে যাকাত প্রদানের ৮টি খাত উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন,
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِيْنِ وَالْعَامِلِيْنَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوْبُهُمْ وَفِيْ الرِّقَابِ وَالْغَارِمِيْنَ وَفِيْ سَبِيْلِ اللهِ وَابْنِ السَّبِيْلِ فَرِيْضَةً مِّنَ اللهِ وَاللهُ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ-
‘নিশ্চয়ই ছাদাক্বাহ্ (যাকাত) হচ্ছে ফকীর ও মিসকীনদের জন্য এবং এতে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য, আর যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য; (তা বণ্টন করা যায়) দাস আযাদ করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্রস্তদের মধ্যে, আল্লাহর রাস্তায় এবং মুসাফিরদের মধ্যে। এটি আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়’ (তওবা ৯/৬০)।
যাকাত প্রদানের খাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
,
হাদীছে এসেছে,
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ أَنَّ رَجُلاً أَتَى النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ لِيْ مَالاً وَوَلَدًا وَإِنَّ وَالِدِيْ يَجْتَاحُ مَالِيْ قَالَ أَنْتَ وَمَالُكَ لِوَالِدِكَ إِنَّ أَوْلاَدَكُمْ مِنْ أَطْيَبِ كَسْبِكُمْ فَكُلُوْا مِنْ كَسْبِ أَوْلاَدِكُمْ-
আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী (ছাঃ)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমার সম্পদ ও সন্তান রয়েছে। আমার পিতা আমার সম্পদের মুখাপেক্ষী। তিনি বললেন, তুমি এবং তোমার সম্পদ তোমার পিতার জন্য। তোমাদের সন্তানেরা তোমাদের উত্তম উপার্জন। সুতরাং তোমরা তোমাদের সন্তানদের উপার্জন থেকে ভক্ষণ কর।
আবুদাউদ হা/৩৫৩০; মিশকাতা হা/৩৩৫৪;
শরীয়তের বিধান মতে নাবালেগ সন্তানের সম্পদ যেহেতু পিতার,তাই পিতার উপর যদি যাকাত প্রদান ফরজ হয়ে থাকে,তাহলে তার নাবালেগ সন্তানকে যাকাত দেওয়া মানে তার পিতাকেই যাকাত দেওয়া।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি উক্ত অসুস্থ শিশুর পিতার উপর যাকাত ফরজ হয়,তাহলে তার সন্তান (নাবালেগ) এর চিকিৎসার জন্য যাকাতের টাকা দেওয়া যাবেনা।
দিলে যাকাত আদায় হবেনা।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
ولا الی طفلہ (در مختار) ای الغنی (ردالمحتار باب المصرف ج ۲ ص ۹۰۔ط۔س۔ج۲ص۳۴۹) ظفیر
অনুবাদঃ সাহেবে নেসাব ওয়ালার সন্তান (নাবালেগ সন্তানকে) যাকাত দেওয়া যাবেনা।
,
তার যদিও সাহেবে নেসাবের মালিক হোক,তারপরেও তার পিতা যদি সাহেবে নেসাবের মালিক না হয়,তাহলে তার সন্তানকে যাকাত প্রদান করা যাবে।
,
কি পরিমান সম্পদ থাকলে যাকাত ফরজ হয়,বিস্তারিত জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব তার বাবার উপরে।
যদি তিনি চিকিৎসা বাবদ টাকা না দেন, তাহলে তার আসল বাবা যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়,তাহলে শিশুর চিকিৎসার জন্য যাকাতের টাকা দেওয়া যাবেনা।
হ্যাঁ, অন্য কোনো টাকা দিয়ে জনগন তার চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে পারে।
,
আর তার বাবা যদি সাহেবে নেসাব না হয়,তাহলে যাকাতের টাকা দিয়েই তার চিকিৎসা করা যাবে।