আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
316 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।

১.নবী (সা:) এর বিরুদ্ধে কেউ যদি কিছু বলে, আমি যদি চুপ থেকে ঘৃনা করি, তবে কি আমার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে?

২.নবী সাঃ এর বিরুদ্ধে কেউ খারাপ কিছু বললে কি সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে কিছু না করলে (যেমন তর্ক করা বা আন্দোলন ইত্যাদি না করলে) আমার ঈমান কি নষ্ট হয়ে যাবে?

৩.জাতীয় পতাকাকে সম্মান করা / সম্মান করে দাড়ানো কি শিরক হবে? যেহেতু আমরা নামাজের সময় আল্লাহকে সম্মান করে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ি।

৪.টিচার ক্লাস রুমে আসলে তখন দাড়ানো কি শিরক ?

৫.কোনো সফটওয়্যার এর নামকরণ এ দেব-দেবীর নাম নেই, এমন একটি ফ্রি সফটওয়্যার যদি কালি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের জন্য যদি বানানো হয় (যা দেবীর নামে নামকরণ করা)

তবে কি ঐ সফটওয়্যার অন্য কোনো অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা যাবে, যে অপারেটিং সিস্টেমের নামে কোনো দেবীর নাম নেই ???

৭.কোনো সফটওয়্যার এর নাম যদি দেব দেবীর নামে হয়, তবে কি তা ভালো কাজে ব্যবহার করা যাবে?

৭.আয়তুল কুরসী পড়ে নিজেকে বা অন্যকে ফুঁ দেয়ার নিয়ম আছে?

৮. পাঠ্য বইয়ে যদি শিরক জাতীয় কিছু থাকে, পরীক্ষায় পাশ করার জন্য কি তা ঘৃনা ও অবিশ্বাস করে লিখা যাবে?

৯.কোনো খারাপ লোকের খারাপ কাজের প্রশংসা করে পরীক্ষায় পাশ করতে লিখলে কি শিরক হবে?

জাজাকাল্লাহ খায়রান হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/12521

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
নবী (সা:) এর বিরুদ্ধে যদি কেউ কিছু বলে, এবং কেউ যদি চুপ থেকে ঘৃনা করে, তাহলে এর জন্য তার ঈমান নষ্ট হবে না। হ্যা, এটা অবশ্যই দুর্বল ঈমানের পরিচায়ক।

(২)
নবী সাঃ এর বিরুদ্ধে কেউ যদি খারাপ কিছু বলে, সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে কিছু না করে (যেমন তর্ক করা বা আন্দোলন করা ইত্যাদি) তাহলে এতেকরে তার ঈমান নষ্ট হবে না।

(৩)
জাতীয় পতাকাকে সম্মান করা যাবে। পতাকাকে লক্ষ্য করে দেশ রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করতে হবে। হ্যা, সম্মাণের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা অবশ্যই রয়েছে। পাতাকার সামনে দাড়ানোর পদ্ধতিটি ইসলাম সম্মত নয়। কেউ দাড়িয়ে গেলে তার ঈমান যাবে না বরং দুর্বল হিসেবে পরিগণিত হবে।

(৪)
উস্তাদের অনেক মর্যাদা রয়েছে।গর্তের পিপিলিকা পর্যন্ত উস্তাদের জন্য রহমত ও মাগফিরাতের দু'আ করতে থাকেন। উস্তাদকে সম্মাণ করতে হবে। উস্তাদের সম্মানে দাড়ানো জায়েয।তবে এটাকে নিয়মে পরিণত করা কখনো বৈধ হবে না।

(৫)
কোনো সফটওয়্যার এর নামকরণ দেব-দেবীর নাম নেই, এমন একটি ফ্রি সফটওয়্যার যদি কালি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের জন্য যদি বানানো হয় (যা দেবীর নামে নামকরণ করা)

তাহলে ঐ সফটওয়্যারকে অন্য অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা যাবে, যে অপারেটিং সিস্টেমের নামে কোনো দেবীর নাম নেই।

(৬)
আয়তুল কুরসী পড়ে নিজেকে বা অন্যকে ফুঁ দেয়া যাবে।

(৭)
পাঠ্য বইয়ে যদি শিরক জাতীয় কিছু থাকে, পরীক্ষায় পাশ করার জন্য তা ঘৃনা ও অবিশ্বাস করে লিখার রুখসত রয়েছে।

(৮)
কোনো খারাপ লোকের খারাপ কাজের প্রশংসা করে পরীক্ষায় পাশ করতে লিখলে সেটা শিরক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...