আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
144 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (16 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ।।
আমাদের এলাকায় একপ্রকার মহিলা ঘটক আছে মা ও তার মেয়ে।এরা গরীব দুঃখী বেকার মানুষদের টাকার লোভ দেখিয়ে, একদম ইবলিশ শয়তানের মতো তাদের ফাদে ফেলে।
অমোক মেয়েকে বিয়ে করো বা তোমার ভাই ছেলেকে বিয়ে করাও তিন লাখ/দুই লাখ টাকা দিবে যা দিয়ে কোন এক ব্যবসা করতে পারবে।তোমাদের আর দুঃখ থাকবেনা।এই বলে যোগ্য ছেলের সাথে অযোগ্য মেয়ে আর যোগ্য মেয়ের সাথে অযোগ্য ছেলের বিয়ে করিয়ে ছাড়ে।এরপর তিন/দুই লাখ টাকা দেওয়ার বেলায় আর দেয় না (তারা ছেলেকে যে টাকা দেবে বা কর্মের ব্যবস্থা করবে সে ব্যপারে মেয়ে পক্ষের সঙ্গে কোন আলাপ করে না) ফলে বিবাহিতদের দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে চরম দুঃখ একপ্রকার তারা (সেই ঘটকরা) সংসার বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায় এমন কি দুই একটা সংসার তাদের জন্য বিচ্ছেদ হয়েছে।আর ছেলের পরিবারের প্রতি জুলুম নির্যাতন চালায় যা অসহনীয়।

আর একটা কথা তারা যে সকল মেয়েদের বিয়ে দেয় তাদের বয়স ১০/১২/১৪ বছর হয়ে থাকে। মেয়ের পরিবারকে বলে আপনার মেয়ে এখন বিয়ে না দিলে পরে কোন ছেলের সাথে পালিয়ে যাবে।

প্রিয় শায়েখ,
*এইযে তারা ১০-১২ বছরের মেয়েদের বিয়ে দিচ্ছে এটা কি ঠিক করছে?
* তারা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে পরে তা না দিয়ে একটা অসহায় পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি করছে তা কি ঠিক আবার তারা সেই সংসার বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায় সেক্ষেত্রে কাবিনের টাকা দিতে ছেলে পক্ষের বড় জুলুম হয়।

(১) তাদের বিরুদ্ধে আইনিপদক্ষেপ নেওয়া কি ঠিক হবে?
(২) তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবে বা তাদের পরিহার করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তাদের কাজের মধ্যে অনেক মিথ্যা ও ধোকা মূলক কাজ রয়েছে।
তাই তাদের ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়া যাবে।

(০২)
তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবেনা।
তবে তাদের দিয়ে এসব কাজ না করানো যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...