তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}
أفتى المتأخرون فى “انت على حرام” بأنه طلاق بائن للعرف بلا نية (رد المحتار، زكريا-4\466، كرتاشى-3\253)
মুতায়াখখিরিনে উলামায়ে কেরামগন ফতোয়া প্রদান করেছেন "তুমি আমার উপর হারাম" বললে নিয়ত ছাড়াই বায়েন তালাক পতিত হবে।
সমাজের প্রচলনের কারনে।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ৪/৪৬৬)
في البحر الرائق: لو قال لها: أنت علي حرام، والحرام عنده طلاق وقع وإن لم ينو.وذكر الإمام ظهير الدين لا نقول لا تشترط النية ولكن نجعله ناويا عرفا.
স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে, তুমি আমার উপর হারাম। আর হারাম শব্দটিকে সে তালাকের অর্থেই বুঝে থাকে তাহলে স্বামী তালাকের নিয়ত না করলেও তালাক পতিত হবে। ইমাম জহীরুদ্দীন রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমরা এ কথা বলি না যে, এ ক্ষেত্রে নিয়তের শর্ত নেই, নিয়ত ছাড়াই তালাক হয়ে যাবে। বরং আমরা বলি—সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এটি এমনিতেই নিয়ত হিসেবে গণ্য হয়ে যাবে। (আল-বাহরুর রায়িক : ৩/৫২৩)
في البحر الرائق: لو قال لها: أنت علي حرام، والحرام عنده طلاق وقع وإن لم ينو.
(البحر الرائق، زكريا-3\523، كويته-3\300)
স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে, তুমি আমার উপর হারাম। আর হারাম শব্দটি তালাকের অর্থেই ব্যবহৃত হয়। তাই স্বামীর তালাকের নিয়ত না করলেও তালাক পতিত হবে। (আল-বাহরুর রায়িক : ৩/৫২৩)
فى الفتاوى التاتارخانيه: انت علي حرام والفتوى أنه يقع به البائن، وان لم ينو لغلبة الاستعمال.
(تاتارخانية-4\448، رقم: 6637)
স্বামীর বক্তব্য “তুমি আমার উপর হারাম” এর দ্বারা তালাক বাইন পতিত হওয়ার উপরই হচ্ছে ফাতাওয়া। এ ধরনের বক্তব্যের বহুল ব্যবহার তালাকের জন্য হওয়ার দরুন স্বামী তালাকের নিয়ত না করলেও তালাকে বাইন পতিত হবে। (আল-ফাতাওয়াত তাতারখানিয়া : ৪/৪৪৮)
এক্ষেত্রে স্বামীর তালাকের নিয়ত থাকা না থাকার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। উক্ত স্বামীর জন্য স্ত্রীর সাথে ঘর-সংসার বহাল রাখতে হলে পুনরায় নতুন করে বিবাহ (আকদ) করা জরুরি।