হঠাৎ হঠাৎ এমন হয় যে, নামাজ পড়তে একেবারেই ভালো লাগে না, মন আসে না। কাযা হয়ে যায় এমন অবস্থা।
আমার তখন মনে হয়, আমি তো অন্যান্য সময় নামাজ পড়ি। তাহলে মাঝে মধ্যে যে এমন হয়,অন্তত এই জন্য কি আল্লাহ নিজে আমার ঈমানের অবস্থা ঠিক করে দিতে পারেন না? / নামাজের প্রতি ভালো লাগা, আগ্রহ এনে দিতে পারেন না? যে আমি নামাজ পড়ার চেষ্টা করি/ এতে আগ্রহী/ অন্যান্য সময় গুলোতে তা ঠিক রাখি।
তখন আমার মাঝে অনেক নেতিবাচক চিন্তা আসতে থাকে, যে আল্লাহ তো কিছু মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছেন, আল্লাহ হয়তো আমাকে পছন্দ করেন না। ইত্যাদি। এতে ঈমান তো খারাপ হয়ই, একরকম উগ্রতা চলে আসে নামাজ/ আমলের প্রতি। এবং আল্লাহর দয়া গুণের প্রতি ।
তো স্ক্রল করতে করতে আমার সামনে একটা ভিডিও আসে যার টাইটেল এ লেখা, " যারা ধৈর্য্যের সাথে চেষ্টা করে, আল্লাহ অবশ্যই তাদের সাহায্য করেন।" এটা দেখে আমি একরকম তাচ্ছিল্লের/ হাস্য রসের সাথেই বলে উঠলাম, " ওরে বাবা! (মানে তাই নাকি)" এমন । যেহেতু বলেছিলাম যে এমন সময় গুলোতে মনে হয় যে, আল্লাহ আমার প্রতি নারাজ। বা আল্লাহ দয়াশীল কিন্তু আমি বাদে বাকি সবার প্রতি, আমার প্রতি না। এবং আমিও তো একটু হলেও চেষ্টা করছি, যদিও এতে consistency এর অভাব আছে। তাও একটু হলেও তো করছি।
এখন অমন টা বলা কি আল্লাহর নিদর্শন নিয়ে ঠাট্টা করা হয়ে গেলো? যেটা করা কুফুরীর সমান। এবং ঈমান ভেঙে যায় যাতে ।
এটা কি ঈমান ভঙ্গের কারণ হবে?
এবং আমি জানতে চাই, যে এমন অবস্থায় কি করণীয়? যেহেতু এমনটা প্রায়ই হয়। এবং করণীয় কাজ গুলোর প্রতিও আমার অনাগ্রহ চলে আসে।