আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (42 points)
হঠাৎ হঠাৎ এমন হয় যে, নামাজ পড়তে একেবারেই ভালো লাগে না, মন আসে না। কাযা হয়ে যায় এমন অবস্থা।
আমার তখন মনে হয়, আমি তো অন্যান্য সময় নামাজ পড়ি। তাহলে মাঝে মধ্যে যে এমন হয়,অন্তত এই জন্য কি আল্লাহ  নিজে আমার ঈমানের অবস্থা ঠিক করে দিতে পারেন না? / নামাজের প্রতি ভালো লাগা, আগ্রহ এনে দিতে পারেন না? যে আমি নামাজ পড়ার চেষ্টা করি/ এতে আগ্রহী/ অন্যান্য সময় গুলোতে তা ঠিক রাখি।

তখন আমার মাঝে অনেক নেতিবাচক চিন্তা আসতে থাকে, যে আল্লাহ তো কিছু মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছেন, আল্লাহ হয়তো আমাকে পছন্দ করেন না। ইত্যাদি। এতে ঈমান তো খারাপ হয়ই, একরকম উগ্রতা চলে আসে নামাজ/ আমলের প্রতি। এবং আল্লাহর দয়া গুণের প্রতি ।

তো স্ক্রল করতে করতে আমার সামনে একটা ভিডিও আসে যার টাইটেল এ লেখা, " যারা ধৈর্য্যের সাথে চেষ্টা করে, আল্লাহ অবশ্যই তাদের সাহায্য করেন।" এটা দেখে আমি একরকম তাচ্ছিল্লের/ হাস্য রসের সাথেই বলে উঠলাম, " ওরে বাবা! (মানে তাই নাকি)" এমন । যেহেতু বলেছিলাম যে এমন সময় গুলোতে মনে হয় যে, আল্লাহ আমার প্রতি নারাজ। বা আল্লাহ দয়াশীল কিন্তু আমি বাদে বাকি সবার প্রতি, আমার প্রতি না। এবং আমিও তো একটু হলেও চেষ্টা করছি, যদিও এতে consistency এর অভাব আছে। তাও একটু হলেও তো করছি।

এখন অমন টা বলা কি আল্লাহর নিদর্শন নিয়ে ঠাট্টা করা হয়ে গেলো? যেটা করা কুফুরীর সমান। এবং ঈমান ভেঙে যায় যাতে ।

এটা কি ঈমান ভঙ্গের কারণ হবে?

এবং আমি জানতে চাই, যে এমন অবস্থায় কি করণীয়? যেহেতু এমনটা প্রায়ই হয়। এবং করণীয় কাজ গুলোর প্রতিও আমার অনাগ্রহ চলে আসে।

1 Answer

0 votes
by (603,000 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি।এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1037

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি একজন নেককার বুজুর্গ তথা কওমী মাদরাসা শিক্ষিত সর্বজন শ্রদ্ধেয় কোনো নেককার আলেমের শরণাপন্ন হয়ে উনার সংস্পর্শে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করবেন। অথবা তাবলীগে চিল্লা দিবেন। সাহাবীদের জীবন ইতিহাস বেশী বেশী পড়বেন। এবং অতীতের কথা বার্তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।ঈমান নবায়ন করে নিবেন। বিবাহিত হলে বিবাহকে দোহড়িয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (603,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 116 views
0 votes
1 answer 155 views
0 votes
1 answer 130 views
...