আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
228 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। বিবাহ সংক্রান্ত একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শ প্রয়োজন। খুব বেশী সময় লাগবে না। ধৈর্য সহকারে আমার সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনার কাছে আমার বিনীত অনুরোধ।
আমি আমার প্রাক্তনকে খুব ভালোবাসি এবং আমি কলেজের পরে আমার জীবনে অন্য কারও সাথে কোনো হারাম সম্পর্কে আর যেতে চাইনি। কয়েক বছর পর, আমরা আবার দেখা করলাম, আমি তাকে আমার অনুভুতি সম্পর্কে জানালাম যে আমি এখনো কেমন অনুভব করছি।

তারপরে সাধারণত ৩ মাস একে অপরের সাথে কথা হয়, দেখা হয়, তাদের বাসায়ও প্রায়ই প্রয়োজনীয় কাজে যাওয়া হয়প এবং একে অপরের প্রতি টান চলে আসে, যদিও এটি তার চেয়ে আমার তরফ থেকে বেশি ছিল। কিন্তু আমরা জানতাম, এটা হারাম এবং আমরা আর হারাম সম্পর্কে থাকতে চাইনি। আমরা নিকাহ করে একে অপরের জন্য পবিত্র ও হালাল হতে চেয়েছিলাম।

তার জন্মদাতা বাবা ওর ছোট বয়সেই মারা যান। এরপর তার মা ২য় বিয়ে করেছে, সেই সংসারেই দীর্ঘ ১৬+ বছর ধরে আছে। ওর জন্মদাতা পিতার পরিবার থেকে কেউ আর কখনো খোজ নেয়নি। কয়েক বছর আগে ওর দাদা মারা গেছেন। ওর এখন একমাত্র মাহরাম তার মামা কিন্তু তাদের সাথে তার সম্পর্ক ভালো নয়।

এখন, যখন আমরা বিয়ের কথা বলি বাসায়, তখন তার বাবা-মা এবং আমার বাবা-মা আমাদের বিয়ে করতে দেবেন না কারণ আমরা এখনও ভারসিটির ছাত্র-ছাত্রী এবং আমি বেকার, ভবিষ্যতে দেখা যাবে। তাই অনেক ভাবনার পর আমরা গোপনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই যাতে আমাদের পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেয়ার আগ পর্যন্ত যাতে আমরা হালাল থাকতে পারি, তাই আমার ৩ বন্ধুকে সাক্ষী হিসেবে নিই এবং একজনকে তার অভিভাবকের (ওয়ালিদ) পক্ষে নেই ও কাজী সমেত বিয়ে করে ফেলি, দেনমোহরের কিছু টাকা স্বর্নালংকার এর মাধ্যমে দেয়া হয়েছে নগদ আর বাকিটা এখনো বাকি। ওর পরিবারের কেউ বিষয়টি সম্পর্কে জানে না। না আমার পরিবারো।

কয়েক মাস সুখের পর এখন আমরা শান্তি পাই না। আমরা বেশিরভাগ সময় একে অপরের সাথে এখন ঝগড়া করি। আমার স্ত্রী বুঝতে পেরেছে যে আমি যতটা দায়িত্বশীল, পরিপক্ক এবং যত্নশীল হবার কথা সে আশা করেছিল, সেরকম আমি নই। সে আরও বলছে, আমাদের বিয়েটা নাকি বৈধ হয়নি। এটা আমাকে খুব বিষণ্ণ করে তুলছে এবং আমি প্রতিনিয়ত মানসিক ভাবে ভেংগে পড়ছি। প্রতি মুহূর্তে জিনিসগুলি আরও খারাপ থেকে খারাপ হচ্ছে।

আমার প্রশ্ন হল:
1. আমাদের নিকাহ কি বৈধ হয়েছে? এটা কি সত্য যে তার মারহামদের উপস্থিতি ছাড়া নিকাহ বৈধ হবে না?

2. এখন আমাদের কি করা উচিত? কিভাবে একটি ভাল সমাধানে আসা যায়।

আমাদের বিষয়টি দয়ার দৃষ্টিতে দেখবেন।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1525

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনাদের বিয়ে বৈধ হয়েছে।এটা হানাফি ফিকহের আলোকে সিদ্ধান্ত।আপনার স্ত্রী সালাফি মাযহাবের অনুকরণে বিবাহ বৈধ না হওয়ার কথা বলছেন। এখন সিদ্ধান্ত আপনাদের। আপনারা যদি পূর্ব থেকে হানাফি থাকেন, তাহলে বিয়ে শুদ্ধ হয়েছে। নতুবা শুদ্ধ হয়নি।বিয়েকে শুদ্ধ করার জন্য হানাফি ফিকহে চলে আসা বা বিবাহকে ভঙ্গ করার জন্য সালাফি ফিকহে চলে যাওয়া কখনো জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...