আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
476 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (40 points)

আমার বাবা কিছুদিন আগ পযন্ত একটা মাদ্রাসায় সহ-সুপার পদে চাকরি করতো। ৪-৫ মাস আগে সে আগের মাদ্রাসার চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন আর একটি মাদ্রাসায় সুপার পদে চাকরি নেন কিছু টাকা ঘুস দিয়ে। আমি তাকে অনেক ঘুস হারাম এটা বোঝালেও সে বলে বতমান সময়ে টাকা না দিলে চাকরি হবে না।
তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, তার ইনকাম কি এখন হালাল নাকি হারাম? আর হারাম যদি হয় তাহলে আমার করণীয় কি?আমি তো এখনো অবিবাহিত।আমার বিকল্প কোন ইনকাম নাই

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
জবাবঃ-
604 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
(এক)ঘুষ কবিরা গুনাহ সমূহের একটি।হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﻲ ﻭَﺍﻟْﻤُﺮْﺗَﺸِﻲ .
ঘুষ প্রদাণকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের উপর রাসূলুল্লাহ সাঃ লা'নত দিয়েছেন।(মুসনাদে আহমদ-৬৭৯১সুনানে আবু-দাউদ-৩৫৮০)

(দুই)ঘুষ দেওয়া ব্যতীত যদি নিজ প্রাপ্য হক আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে এমতাবস্থায় ঘুষ দেয়া জায়েয।অন্যথায় ঘুষ দেয়া হারাম।তবে ঘুষ গ্রহণ করা সর্বাবস্থায়-ই নাজায়েয ও হারাম।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনার পিতা যদি অযথা ঘুষ দিয়ে চাকুরী নেন,তাহলে সেটা জায়েয হয়নি।তবে চাকুরী নেয়া নাজায়েয হলেও তিনি যদি ঠিকঠাক ভাবে অর্পিত দায়িত্বকে পালন করে থাকেন,তাহলে উনার ইনকাম হারাম হবে না।কেননা উনি কাজের বিনিময়ে বেতন নিচ্ছেন।কাজকে তো উনি ঠিকঠাকভাবেই আঞ্জাম দিচ্ছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...