আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (104 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার আত্নীয়ের ইনকাম হারাম। তার বাসায় আসা লাগছিলো এক কারণে। এখানে যা কিছু খাওয়া লাগছে তার আনুমানিক টাকা আমি সওয়াবের নিয়ত বাদে কাফফারা হিসেবে দান করে দিয়েছি।
এখানে আমি হলে ফিরে যাচ্ছি৷ আত্নীয় আমার জন্য খাবার হিসেবে রুটি,খেজুর,মাংস দিয়ে দিচ্ছে।
এগুলো নিয়ে গিয়ে আমি কি ফেলে দিব?
নাকি এতে খাবারের অপচয় হবে বিধায় খেয়ে ফেলে কাফফারা হিসেবে সওয়াবের নিয়ত বাদে টাকা দিতে দিব?

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
এ সম্পর্কে মাস'আলা আমরা নিচের ব্যাখ্যা থেকেই বুঝতে পারবো।
فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن  كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع
যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়, যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল, তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে, দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না। আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না। এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২)

সুতরাং বিত্তশালীর জন্য হারাম মাল থেকে হাদিয়া গ্রহণ কখনো জায়েয হবে না।তবে যাকে হাদিয়া দেয়া হচ্ছে, তিনি যদি এমন মিসকিন হন যে, তার উপর যাকাত ওয়াজিব হওয়ার পরিমাণ সম্পদ নেই। তাহলে এমন ব্যক্তির জন্য উক্ত হাদিয়া গ্রহণ জায়েয।কেননা হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে, তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে। (মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের অধিকাংশ ইনকামই যদি হারাম হয়, সেক্ষেত্রে সেই আত্মীয়দের বাসায় দাওয়াত খাবেননা।
খেয়ে থাকলে সেই পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনদের মাঝে সদকাহ করে দিতে হবে।
,
আর যদি তাদের অধিকাংশ ইনকাম হালাল হয়, সেক্ষেত্রে তাদের বাসায় দাওয়াত খাওয়া যাবে।
আরো বিস্তারিত জানুন- ifatwa.info/22304/

আল্লাহ তায়ালা বলেন-
إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ ۖ وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِرَبِّهِ كَفُورًا
নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ। সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত নং-27

★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১, আপনি যেই পরিমাণ টাকার খাবার খেয়েছেন সেই পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনদের মাঝে সদকাহ করে দিবেন।
২, আপনি খাবারগুলো ফেলে না দিয়ে বা নিজে না খেয়ে কোনো গরীব মিসকিনকে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকাহ করে দিবেন৷


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...