আসসালামু আলাইকুম
প্রচন্ড পরিমানে ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত । স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একটু পয়েন্ট আকারে উত্তর দিলে বুঝতে সুবিধা হয়।
১) খুশির হালতে প্রায় সাধারণ কথা বলার অনেক সময় কেনায়া শব্দ ব্যবহার হয় কিন্তু ওয়াসওয়াসা থাকার কারনে মাথায় তা** চিন্তা চলে আসে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বা অটোমেটিক চলে আসে যা আটকে রাখা যায় না।
* হাসিখুশি ভাবেই জামা কাপড় পছন্দ করার জন্য স্ত্রী হাজবেন্ডকে বলছে কি ধরনের পোষাক কিনবো উত্তরে হাজবেন্ড বলছে " তুমি দেইখা পছন্দ কর বা তোমরা দেইখা পছন্দ কর" ।এটা বলার পর চিন্তা হয় কেনায়া বাক্য বলে ফেললাম, মাথার মধ্যে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তা***চিন্তা চলে আসে যা জোর করেও আটকে রাখতে পারিনি । আমি জামা পছন্দের কথা বলেছি ।আমার চিন্তায় আসে এসব কথা কিন্তু আমার নিয়ত বা উদ্দেশ্য কিন্তু এইটা ছিলো না।
*ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে কথা হচ্ছে " পাঠানো লাগবে " মানে ছবি পাঠানোর কথা বলা হচ্ছে ক্রেতাকে উদ্দেশ্যে করে বিক্রেতা বলছে। এখানেও ইচ্ছার বিরুদ্ধে চিন্তা চলে আসে "পাঠানো লাগবে " কি কেনায়া শব্দ ? কিন্তু প্রকৃতপক্ষে হাজবেন্ড এই চিন্তা করতেই চায়না কিন্তু চিন্তা চলে আসে স্ত্রীকে পাঠানোর কথা মাথায় চলে আসলে জোর করে আটকে রাখা যায় না ।এধরনের চিন্তা আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে , এগুলো মোটেও আমি চিন্তা করতে যাইনা।
প্রশ্ন হচ্ছে এইরকম আরো অনেক কথা আছে যেখানে সাধারণ কথায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে তা*** চিন্তা চিলে আসে ওয়াসওয়াসার কারনে । এক্ষেত্রে কি তা*** হয়ে যাবে? আমার চিন্তা গুলোই কি আমার নিয়ত নাকি সেগুলো আমার কেবলমাত্র চিন্তা । কারনে এটাতো আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চিন্তা আসছে
২) এতদিন পর হঠাত করে নতুন করে এই ব্যাপারে সন্দেহ হয় ।এতদিন মনেও ছিলো না । স্ত্রী যদি বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার কথা বলে । পরিবারের সবাই স্ত্রীকে বুঝায় না যাওয়ার জন্য।স্ত্রী না বুঝতে চাইলে স্বামী যদি তার নিজের মাকে বা স্ত্রীকেই বলে ( কারন কাকে বলছে সেটা মনে নেই) এই টাইপের কিছু বলে যে ," যেতে চাইলে যাক , যে যেতে চায় তাকে জোর করে আটকে রাখা যায়না'" । অনেকদিন পুরোনো ঘটনা তাই সঠিক কি কথা বলা হয়েছে এখন কারোর মনে নেই এখানে ধারনা করে বলা হচ্ছে এখানে এই টাইপের কিছু হয়তো বলা হয়েছে । সেখানে তা*** বিষয়ে কোন কথা হয়নি এটা অনেকটা সিউর এবং এখানে স্বামীর প্রবল ধারনা যে তার কোন তা** নিয়ত ছিলো না ।কেননা স্বামী নিজেও স্ত্রীকে বাপের বাড়ি যেতে দিতো চাইতো না কারন হাজবেন্ড সব সময় বলতো স্ত্রীকে যে "ঝগড়া করা অবস্থায় কেনো যেতে হবে , যদি যেতেই হয় তাহলে হাসিখুশি থাকা অবস্থায় বেড়িয়ে আসো আমি বাধা দিবোনা।"
উপরে বর্নিত ঘটনা সঠিক কারো মনে নেই এবং কথা গুলোও স্পষ্ট আকারে মনে নেই। এই কথা আদৌ বলা হয়েছে কিনা তাও বুঝতে পারছেনা ,একটা আইডিয়া করে লিখা হয়েছে যে এরকম হয়তো হতে পারে । স্বামী আল্লাহর নামে কসম করে বলেছে তার মনে নেই অতীতে কি বলেছে এবং তার প্রবল ধারনা সে যাই বলেছে তার মনে তা*** চিন্তা ছিলোনা। এখন করনিয় কি , ভয় পাচ্ছে যদি ভূলবশত বলেও থাকে তাহলে আল্লাহ কি মাফ করবেন? স্বামী ওয়াসওয়াসার রোগী।এই বিষয়ে ফায়সালা কি হবে?
৩) অতীতের ঘটনা একেক সময় একেক ভাবে মনে পড়ে। সন্দেহ থাকার কারনে কোন ঘটনা কিভাবে বলছে কেন বলছে বুঝতে পারছিনা। সন্দেহের রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারনে মানষিক যন্ত্রনা দিচ্ছে অনেক। অতীত যা স্পষ্ট নেই যা আমার সাধ্যের বাইরে সেগুলো কি চিন্তা করা ঠিক হবে? আবার নতুন কোন সন্দেহ হলে কি করনিয় ?