জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো বিচারকের বেতন হালাল,এতে কোনো সমস্যা নেই।
,
তবে সাধারণত অনেক বিচারক ঘুষ খেয়ে থাকে,তাই সেই ঘুষের টাকা হারাম,কিন্তু সরকার প্রদত্ত বেতন হালাল।
আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাযি. থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন, لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ الرَّاشِي وَالْمُرْتَشِي
রাসূলুল্লাহ ﷺ ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতাকে লানত করেছেন।
(আবুদাউদ ৩৫৮০, আহমাদ ৬৭৯১)
,
হারাম টাকা উপার্জনকারীর দাওয়াত গ্রহন করার ক্ষেত্রে কয়েকটি কথা জেনে রাখা জরুরী।যথা-
১
হারাম উপার্জনকারীর পূর্ণ রোজগারই হারাম। আর লোকটি তার হারাম টাকা দিয়েই দাওয়াত খাওয়াচ্ছে।
২
লোকটির উপার্জন হালাল ও হারামের মাঝে সংমিশ্রিত। এ দুটি উপার্জিত অর্থ এমনভাবে সংমিশ্রিত যে, একটি অন্যটি থেকে পৃথক নয়।
তবে এর মাঝে হারাম উপার্জন বেশি। আর লোকটি মিশ্রিত সে সম্পদ দিয়েই দাওয়াত খাওয়াচ্ছে।
৩
লোকটির হালাল উপার্জনও আছে, আবার হারাম উপার্জনও আছে। এ দুটি উপার্জিত অর্থ এমনভাবে সংমিশ্রিত যে, একটি অন্যটি থেকে পৃথক নয়। তবে তার হারাম উপার্জন কম। হালাল উপার্জন বেশি। আর লোকটি এ মিশ্রিত সম্পদ দিয়ে দাওয়াত খাওয়াচ্ছে।
৪
হারাম উপার্জনকারী হারাম উপার্জন দিয়ে দাক্যাত খাওয়াচ্ছেনা। বরং কারো থেকে হালাল টাকা ধার করে বা কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়ে বা তাদের হালাল উপার্জন থেকে দাওয়াত খাওয়াচ্ছে।
প্রথমোক্ত দুই সূরতে উক্ত ব্যক্তির দাওয়াত গ্রহন করা জায়েজ নয়। আর তৃতীয় সুরতে উক্ত ব্যক্তির দাওয়াত গ্রহণ জায়েজ হলেও, না নেয়া উত্তম।
আর চতুর্থ সুরতে উক্ত ব্যক্তির দাওয়াত গ্রহণ জায়েজ আছে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ব্যাক্তি (জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) যদি ঘুষ না খায়,তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই।
তবে তিনি যদি ঘুষ খান,তাহলে তার ঘুষের টাকা ব্যাতিত বেতনের টাকা বা করজ কৃত টাকা থেকে দাওয়াত খাওয়ালে সেই দাওয়াত খেতে কোনো সমস্যা নেই।
,
আরো জানুনঃ