বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
কুরআনের হাফেজদের জন্য হাদীসে বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কোরআন তিলাওয়াত করো। কেননা তা কিয়ামতের দিন তার ধারকের জন্য সুপারিশকারী হবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩০২)
কিয়ামতের দিন কোরআন মুখস্থকারীদের প্রতিটি আয়াতের বিপরীতে মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন অধ্যয়নকারীকে বলা হবে, কোরআন পাঠ করতে করতে ওপরে উঠতে থাকো। তুমি দুনিয়াতে যেভাবে ধীরে-সুস্থে পাঠ করতে, সেভাবে পাঠ করো। কেননা তোমার তিলাওয়াতের শেষ আয়াতেই (জান্নাতে) তোমার বাসস্থান হবে।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ১৪৬৪)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
আপনি ঘরে বসে কুরআন শরীফ মুখস্থ করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনার জন্য কিছু পরামর্শঃ-
★আপনার মেধা ও স্মরণশক্তি অনুপাতে প্রতিদিন একটি নির্ধারিত পরিমাণ মুখস্থ করুন। এক পৃষ্ঠা হোক বা আধা পৃষ্ঠা হোক,সর্বনিম্ন পাঁচ লাইন মুখস্থ করার চেষ্টা করুন।
★প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে দুইবার হিফজের জন্য সময় দিন। সকালে নির্ধারিত পরিমাণ মুখস্থ করুন এবং সারা দিন মনে মনে আবৃত্তি করুন। রাতে দেখে তা আরো ভালোভাবে আত্মস্থ করুন। সকাল ও সন্ধ্যায় কমপক্ষে ৪০ মিনিট করে সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন।
★পরের দিন একজন কোরআনের হাফেজ বা যাঁর কোরআন তিলাওয়াত বিশুদ্ধ তাঁকে মুখস্থ করা অংশটুকু শোনান। কোনো স্থানে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করে নিন এবং পরের দিন তা আবার শোনান।
★প্রতিদিন নতুন অংশ মুখস্থ করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি পেছনের অংশ মুখস্থ রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই সুযোগমতো পেছনের অংশ বারবার তিলাওয়াত করতে হবে। এবং তাহা সেই উস্তাদকে/অন্য যেকোনো শুদ্ধ পাঠকারীকে শোনাতে হবে,সম্ভবপর না হলে নিজেই নিজেই কুরআন বন্ধ রেখে ভালোভাবে পিছনের পড়া তিলাওয়াত করবেন।
★রাতে-দিনে বিশ্রামের সময় মনে মনে তিলাওয়াত করুন। বিশেষত ঘুমানোর আগে প্রতিদিনের নতুন মুখস্থ করা অংশটি আগের দিনের অংশের সঙ্গে মিলিয়ে তিলাওয়াত করুন।
★একাধিক পারা মুখস্থ হওয়ার পর সম্ভব হলে ধারাবাহিকভাবে পেছনের এক পারা করে একবার দেখে তিলাওয়াত করুন এবং তারপর একবার না দেখে তিলাওয়াত করুন।
এবং তাহা সম্ভব হলে কোনো উস্তাদকে বা অন্য যেকোনো শুদ্ধ পাঠকারীকে শোনানোর চেষ্টা করুন।
সম্ভবপর না হলে নিজে নিজেই কুরআন বন্ধ রেখে ভালোভাবে মুখস্থ তিলাওয়াত করুন।
মুখস্থ অংশ শোনানোর সময় যেসব জায়গায় ভুল ধরা পড়ে—তা (রুল দিয়ে) চিহ্নিত করে রাখা (পরবর্তীতে যেনো মিশে ফেলা যায়) এবং পরবর্তী সময় এসব শব্দ ও তার উচ্চারণের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা।
(কিছু তথ্য সংগৃহীত।)
(০২)
এখানে ভিন্নতা বলতে আয়াত বা হরফের মাঝে কোনো ভিন্নতা নেই।
তবে পৃষ্ঠার ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা এসেছে।
এটি প্রিন্ট করতে গিয়ে প্রচলিত কপির অনুসরণ না করাতে হয়েছে।
এটি কোনো সমস্যাকর নয়।
আপনি উসমানী প্রিন্টের কুরআন পড়তে পারেন,এতে কোনো সমস্যা নেই।