কসম সম্পর্কে

Question

আসসালামু আলাইকুম শাইখ,
আমার স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য ডাক্তারে ২ মাস সহবাস থেকে বিরত থাকতে বলে, সেই সময় আমি বলে ফেলি "চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত আর সহবাস করবোনা" (যেহেতু বেকার টাকার সমস্যা সহবাস করলে যদি আবার ডাক্তার দেখাতে হয় তাই)। এই কথা বলার পরেও আমরা একসাথেই আছে এবং অন্তরঙ্গ সম্পর্ক বিদ্যমান এবং সুস্থ হয়ে গেলে আবার সহবাস করার মনস্থির করেছি। এখন প্রশ্ন হলো পুর্বের কথা দ্বারা কি কসম করা হয়ে গেছে? যদিও আমি আল্লাহর নামে বা শপথ করে বলিনি এমনি সাধারণ ভাবে বলেছি। আমার উপর কি কাফফারা ওয়াজিব হয়ে গেছে?
এই ঘটনা বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে কি?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
প্রথম কথা হল, আপনি আল্লাহর নাম নিয়ে কসম করে বলেননি, দ্বিতীয় কথা হল, আপনি হালালকে তথা সহবাসকে হারাম সাব্যস্ত করেননি, তাই আপনার এইভাবে বলা যে,
"চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত আর সহবাস করবোনা"

এই কথা বলার পর স্ত্রী সহবাস করার দ্বারা কোনো কিছুই হবে না।

تحريم الحلال يمين. كذا في الخلاصة. فمن حرم على نفسه شيئا مما يملكه لم يصر محرما ثم إذا فعل مما حرمه قليلا، أو كثيرا حنث ووجبت الكفارة كذا في الهداية-
হালালকে হারাম সাব্যস্ত করা কসমের সমতূল্য। যে ব্যক্তি কোনো জিনিষকে নিজের উপর হারাম সাব্যস্ত হবে।এ হারাম সাব্যস্তর দ্বারা উক্ত জিনিষ অবশ্যই হারাম হবে না।তবে যদি সে উক্ত জিনিষ করে নেয়,কম হোক বা বেশী হোক,তাহলে সে কসম ভঙ্গকারী রূপে গণ্য হবে।তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে।(হেদায়া)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৫৫)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/5011

Comments

উত্তর দেয়া হয়েছে।

---

جَزَاكَ ٱللَّٰهُ خَيْرًا