আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
231 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম

 ওয়াসওয়াসা থাকার কারনে সাধারণ কথায় কথায় কেনায়ার সন্দেহ হয় শুধু । কেনায়ার সন্দেহ জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে ।একটু সমাধান দিন।

প্রশ্ন ১) আমার এক ভাগিনা আমার জন্য আর আমার এক ভাইয়ের জন্য অনেক্ক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছিলো কথা বলার জন্য ।আমার  ভাই অন্য কাজে ব্যস্ত ছিল বিধায় তাকে ডাক দিয়ে বললাম

-"একটু এদিকে আসেন   , আগে ওকে বিদায় করি"

(মানে আমার ভাইকে বললাম আগে ভাগিনাকে বিদায় করি পরে অন্য কাজ করেন )

এটা বলার পর ওয়াসওয়াসার কারনে মনে হল এটা কি কেনায়া বাক্য বলে ফেললাম, আমি কি স্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে কিছু বলে ফেললাম । মনে যাতে কোন বাজে চিন্তা না আসে তাই মনে মনে চিন্তা করলাম  , "না ,আমি কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলিনি"

এই কথা বলার পূর্বে মনে এমন কোন চিন্তাই ছিলো না,বলার পূর্বে স্ত্রীর কথা মনেই ছিলোনা এবং এমনকি সে আমার কাছে উপস্থিত ও ছিলোনা । আমরা এখন খুব ভালো আছি তার উপর আমি অনেক খুশি আছি।

"আগে ওকে বিদায় করি "এটা কি কেনায়া বাক্য হবে?

 আর এখানে আমার নিয়ত কোনটা ধরা হবে ?  মনে মনে চিন্তা করলাম , "না আমি কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলিনি" এইটা নাকি "আমি কি স্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে কিছু বলে ফেললাম" এইটা। নাকি বলার সময় যেহেতু কোন নিয়ত ছিলোনা সেইটাই আমার নিয়ত ধরা হবে যেহেতু চিন্তাগুলো খেয়াল হয়েছে কথা বলার পর ওয়াসওয়াসার কারনে।

একটু জানাবেন দয়া করে।

২) এই রকম সাধারণ কথায় কেনায়া শব্দ ব্যবহার হয় অনেক সময়। ওয়াসওয়াসার কারনে নিয়ত চলে আসলে সেখানে তা@@@ হয়ে যাবে কি? সাধারণত তা@@ দেওয়ার কোন ইচ্ছা না থাকলে ওয়াসওয়াসার কারনে চিন্তা চলে আসলে । জানাবেন দয়া করে। এমন চলতে থাকলে তো আমার প্রশ্ন জীবনে কোনদিন শেষ হবে না ।

1 Answer

0 votes
by (587,340 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।

ইবনে হাজার হাইতামি রাহ এ সম্পর্কে বলেন,
( وسئل نفع الله به عن داء الوسوسة هل له دواء ؟
فأجاب بقوله : له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان - فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون) (الفتاوى الفقهية الكبرى 1/149)
মর্মার্থ - পরিপূর্ণ ভাবে এই চিন্তাকে পরিহার করার চেষ্টা করাই এর সর্বোত্তম চিকিৎসা।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ওয়াসওয়াসা রোগ, এমন এক রোগ, যে রোগ হলে তালাক বা কুফরি কোনো কিছুই পতিত হয় না। সুতরাং যেহেতু আপনি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত, তাই আপনার মনে আসা কোনো তালাকই কার্যকর হবে না।চায় কথা বলার সময় ওয়াসওয়াসা আসুক বা কথা বলার শেষে মনের মধ্যে ওয়াসওয়াসা আসুক।কোনো ওয়াসওয়াসা দ্বারাই তালাক কার্যকর হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (587,340 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...