ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
"আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকার" এর ব্যপারে সাধারণ মুসলিমদের জন্য বিধান হল, ফরযে কেঠায়। তথা কিছু সংখ্যক মুসলমানের উপর ফরয।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4711
(২)
আল্লাহ তা'আলা বলেন
وَإِذَا رَأَيْتَ الَّذِينَ يَخُوضُونَ فِي آيَاتِنَا فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ حَتَّىٰ يَخُوضُوا فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ ۚ وَإِمَّا يُنسِيَنَّكَ الشَّيْطَانُ فَلَا تَقْعُدْ بَعْدَ الذِّكْرَىٰ مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
যখন আপনি তাদেরকে দেখেন, যারা আমার আয়াত সমূহে ছিদ্রান্বেষণ করে, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যে পর্যন্ত তারা অন্য কথায় প্রবৃত্ত না হয়, যদি শয়তান আপনাকে ভূলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ার পর জালেমদের সাথে উপবেশন করবেন না।(সূরা আন'আম-৬৮)
এদের সাথে কথা না বলাই উচিৎ। হ্যা, নিজের ব্যাপারে পরিপূর্ণ আত্মবিশ্বাস থাকলে, এবং শরীয়তের পরিপূর্ণ দলীল প্রমাণ জানা থাকলে, তখন তাদের সাথে তর্ক করা যাবে। তবে তর্ক করলেও, যুক্তি দেখালেও কোনো ফায়দা হবে না।তাদের অন্তরে হেদায়ত আসবে না।
মোটকথা, কাদের সাথে তর্ক করা সাধারণ মুসলমানের জন্য উচিৎ নয়।
(৩)
প্রতিবাদ করা আ'মল বিলা'রুফের অন্তর্ভুক্ত। তবে এটা বিজ্ঞ উলামাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
(৪)
মুসলমানের ভাষা নমনীয় হবে। অন্যকে হেদায়তের নিয়তে হতে হবে।
(৫)
সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার পর্যায়ে চলে গেলে তখন যুক্তিতর্ককে পরিহার করতে হবে।
(৬)
মুখ ঢেকে পর্দা করা ফরয।যদি কেউ মুখ ঢেকে পর্দা না করে, তাহলে অবশ্যই তার গোনাহ হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/572
(৭)
স্বামীকে সন্তুষ্ট করার নিয়তে মেকাপ করা যাবে।অথবা নিজ ঘরে চার দেয়ালের ভিতর পরিপাটি থাকার জন্যও মেকাপ করা যাবে।তবে বাহিরে যাওয়ার জন্য মেকাপ করা যাবে না।
(৮)
জেনারেল লাইনে পড়া লেখা করা কুরআন বিরোধী নয় বা ইসলাম বিরোধী নয়। হ্যা, পারিপার্শ্বিক হারাম বিষয়কে এড়িয়ে চলতে হবে। নামায পড়বেন, দ্বীনের বিধি-বিধান মেনে চলার চেষ্টা করবেন।সর্বদা দ্বীনি পরিবেশে থাকার চেষ্টা করবেন।
(৯)
জেনারেল লাইনে শিক্ষা অর্জনের পর চাকুরী করার পাশাপাশি দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে লেগে থাকবেন। নারীদের জন্য বিনা প্রয়োজনে ফ্রিমিক্সিং পরিবেশের চাকুরী জয়েন হওয়া জায়েয হবে না।
(১০) এর জন্য সবসময় আল্লাহর কাছে দু'আ করবেন।