আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (87 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
১/ আমর বিল মারুফ অয়া নাহি আনিল মুনকার এর ব্যপারে সাধারণ মুসলিম দের জন্য কতটুকু বিধান কার্যকর? এটা কি বাধ্যতামূলক পর্যায়ের?

২/ আমরা জেনারেল লাইন এর শিক্ষার্থী যারা দ্বীন এর হেদায়েত প্রাপ্ত এদের অনেকেই নাস্তিক, ইসলাম্বিদ্বেষী দের সাথে যুক্তি তর্কের মাধ্যমে তাদের মতবাদ দমন করে কিংবা তাদের দমন করার চেষ্টা করে। এটা করা কতটুকু কার্যকর এবং এটা কি সকলের জন্য বাধ্যতামূলক? এটাও কি আমর বিল মারুফ ওয়া নাহি আনিল মুনকার?

৩/ প্রতিবাদ করাও কি আমর বিল মারুফ অয়া নাহি আনিল মুনকার এর শামিল?
৪/ একজন মুসলিম কিন্তু চিন্তা ধারায় কিছু সমস্যা আর একজন স্বঘোষিত ইসলাম্বিদ্বেষী দুজনের ক্ষেত্রে কি যুক্তি তর্ক প্রদর্শন করার ভঙি কি একি রকম হবে?
৫/ আমির বিল মারুফ অয়া নাহি আনিল মুনকার এর কারণে মুসলিম মুসলিম এ মনোমালিন্যতার সম্ভাবনা দেখা দিলে কিংবা বিভক্তি সৃষ্টির আশংকা দেখা দিলে, কিংবা এক মুসলিম কর্তৃক আরেক মুসলিম এর কষ্ট পাবার আসংকা থাকলে কি করণিয়?

৬/ অনেকেই চেহারা খোলা রাখেন কিন্তু মাথায় কাপড় দেন পর্দার উদ্দেশ্য নিয়ে।  তাদের কি গুনাহ হবে?

৭/ অনেকেই আছেন মেক আপ ও করেন আবার মাথায় ও কাপড় দেন কিন্তু মেক আপ অন্য পর পুরুষ কে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে নয় বরং নিজে কে গোছালো বা সুন্দর বা পরিপাটি রাখার উদ্দেশ্যে।  এতে গুনাহ কি কম হবে?

৮/ আমরা সকলেই আল্লাহ এর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই বিভিন্ন পথে চলছি। জেনারেল লাইন শিক্ষিত রা এই লাইম এ এসেছে তাদের পিতা মাতার এর জন্য এবং দ্বীন এর জ্ঞান এর অভাব এটাও পরিবেশ পরিস্থতির জন্য। আমরা আল্লাহ এর সন্তুষ্টির জন্য সবচেয়ে কার্যকর কোন্ পন্থা নিতে পারি দয়া করে জানাবেন।

৯/ দ্বীন কায়েম এর জন্য আমাদের জেনারেল লাইন শিক্ষিত দের করণীয় আছে কি? আমরা জীবিকার উদ্দেশ্যে যেহেতু এই লাইন এ। তাহলে এই লাইন শেষ করে জীবিকার চিন্তা না করে দ্বীন শিক্ষা ও দাওয়াত এর কাজে গেলে কি সেটা বৈধ হবে?

১০/ আমি গুনাহগার হয়েও আল্লাহ এর কাছে আমার চেয়ে বেশি নেক্কার স্ত্রী চাইতে পারব কি?

জাজাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
"আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকার" এর ব্যপারে সাধারণ মুসলিমদের জন্য বিধান হল, ফরযে কেঠায়। তথা কিছু সংখ্যক মুসলমানের উপর ফরয।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4711

(২)
আল্লাহ তা'আলা বলেন
وَإِذَا رَأَيْتَ الَّذِينَ يَخُوضُونَ فِي آيَاتِنَا فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ حَتَّىٰ يَخُوضُوا فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ ۚ وَإِمَّا يُنسِيَنَّكَ الشَّيْطَانُ فَلَا تَقْعُدْ بَعْدَ الذِّكْرَىٰ مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
যখন আপনি তাদেরকে দেখেন, যারা আমার আয়াত সমূহে ছিদ্রান্বেষণ করে, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যে পর্যন্ত তারা অন্য কথায় প্রবৃত্ত না হয়, যদি শয়তান আপনাকে ভূলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ার পর জালেমদের সাথে উপবেশন করবেন না।(সূরা আন'আম-৬৮)

এদের সাথে কথা না বলাই উচিৎ। হ্যা, নিজের ব্যাপারে পরিপূর্ণ আত্মবিশ্বাস থাকলে, এবং শরীয়তের পরিপূর্ণ দলীল প্রমাণ জানা থাকলে, তখন তাদের সাথে তর্ক করা যাবে। তবে তর্ক করলেও, যুক্তি দেখালেও কোনো ফায়দা হবে না।তাদের অন্তরে হেদায়ত আসবে না।
মোটকথা, কাদের সাথে তর্ক করা সাধারণ মুসলমানের জন্য উচিৎ নয়।

(৩)
প্রতিবাদ করা আ'মল বিলা'রুফের অন্তর্ভুক্ত। তবে এটা বিজ্ঞ উলামাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

(৪)
মুসলমানের ভাষা নমনীয় হবে। অন্যকে হেদায়তের নিয়তে হতে হবে।

(৫)
সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার পর্যায়ে চলে গেলে তখন যুক্তিতর্ককে পরিহার করতে হবে।

(৬)
মুখ ঢেকে পর্দা করা ফরয।যদি কেউ মুখ ঢেকে পর্দা না করে, তাহলে অবশ্যই তার গোনাহ হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/572

(৭)
স্বামীকে সন্তুষ্ট করার নিয়তে মেকাপ করা যাবে।অথবা নিজ ঘরে চার দেয়ালের ভিতর পরিপাটি থাকার জন্যও মেকাপ করা যাবে।তবে বাহিরে যাওয়ার জন্য মেকাপ করা যাবে না।

(৮)
জেনারেল লাইনে পড়া লেখা করা কুরআন বিরোধী নয় বা ইসলাম বিরোধী নয়। হ্যা, পারিপার্শ্বিক হারাম বিষয়কে এড়িয়ে চলতে হবে। নামায পড়বেন, দ্বীনের বিধি-বিধান মেনে চলার চেষ্টা করবেন।সর্বদা দ্বীনি পরিবেশে থাকার চেষ্টা করবেন।

(৯)
জেনারেল লাইনে শিক্ষা অর্জনের পর চাকুরী করার পাশাপাশি দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে লেগে থাকবেন। নারীদের জন্য বিনা প্রয়োজনে ফ্রিমিক্সিং পরিবেশের চাকুরী জয়েন হওয়া জায়েয হবে না।

(১০) এর জন্য সবসময় আল্লাহর কাছে দু'আ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...