আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

১।ধরেন কোন স্বামী স্ত্রী জানে না ইসলামে মেয়েরা নিজেদের তালাক দিতে পারে যে সেটা।শুনেও নি।মুখে পাওয়ার,দিলেও স্ত্রীকে কথার কথায় তবু জানত না।কাবিননামায় দিছে যে সেটাও জানত না ধরেন।তহ স্বামী যদি তালাক খুজে অথবা স্বামী যদি বলে আমাকে তালাক দাও।স্ত্রী যদি স্বামীর দিকে ইন্গিত করে তালাক দেয় তাহলে কি তালাক হবে? মানে ইন্গিতটা মনে মনে স্বামীর দিকে করে শুধু ৩ বার  ঐ শব্দটা  বললে স্বামীকে তাহলে কি তালাক হবে?এরকম ধরেনের প্রশ্ন আগেও করেছিলাম।আপনি তালাক হবে না বলেছিলেন।তবে হুবুহু এমন না। একটু ভিন্ন।হয়ত ধরেন এতকিছু জানত না ওরা।না জেনে বলেছে।একসাথে থাকতে চায় ধরেন ওরা।

২।প্রশ্নটা আমি অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে করেছি।এতে কি বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?

৩।ঝগড়ার সময় নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে কি তালাক হয়??

৪। মেসেজে বা ফোনে খুব ঝগড়ার সময় স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর পর কেনায়া শব্দ না বলে আরো একটু পরে নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে কি তালাক হবে?

৫।    ifatwa.info/56402/

এই লিন্কের ১নং প্রশ্নের উত্তরে ওটা কি বলেছে? মানে ওই কথা গুলো কেনায়া শব্দ নয় বলেছে? মানে স্ত্রী ফোনে তালাক চাওয়ার পর ঐ কথা গুলো বললেও তালাক হবে না এটা বলেছে?

৬।কোন স্বামী যদি বলে ঝগড়া বিবাদ এত হচ্ছে যে বিষয়টা তালাক পর্যন্ত পৌছে গেছে।এটা দ্বারা তহ তালাক দেয় নি মনে হয়।।এর দ্বারা কি তালাক হবে?এই প্রশ্নটা এমনিতে জানার জন্য।ধরেন স্ত্রীও জানে না কোন নিয়তে বলেছে।ধরেন স্বামীর ও মনে থাকে না কথা আর স্বামী যদি বলে তালাকের নিয়তে কিছু বলে নি তাহলে উপরের কথা দ্বারা কি তালাক হবে? এই প্রশ্নটা এমনিতে জানার জন্য।

৭।স্ত্রী যদি তালাক চায় আর স্বামী যদি বলে দৌড়ে তালাকের পর্যায়ে কেন চলে যাও? মানে স্বামী ধরেন বুঝাতে চাচ্ছে কিছু বললে কেন বার বার তালাক চায় স্ত্রী  বা ঐ পর্যায়ে  চলে যায়।  এ কথাটা,দ্বারা কি তালাক হবে?

৮।৭নং প্রশ্নে স্বামীর কথাটার পর পর স্বামী যদি আবার বলে যদি ভাল না লাগে চলে যাও।তাহলে কি তালাক হবে? এখানে তহ স্বামী বলেছে ভাল না লাগলে,সরাসরি চলে যাও বলে নি।আর স্ত্রীও যদি বলে যাচ্ছি। কিন্তু একটু পর ধরেন সব ভাল হয়ে গেছে।আর কথা গুলো ফোনে হচ্ছিল। এর দ্বারা কি তালাক হবে? আমি শুনেছি ফোনে স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর স্বামী যদি বলে যাইলে যাওগা বা তুমার ইচ্ছে হলে যাওগা বা তুমার ভাল না লাগলে যাওগা এসব বললে তালাক হয় না।

৯।শুনেছি ফোনে স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর স্বামী যদি বলে যাইলে যাওগা বা তুমার ইচ্ছে হলে যাওগা বা তুমার ভাল না লাগলে যাওগা এসব বললে তালাক হয় না।এটা কি সঠিক?

1 Answer

0 votes
by (560,400 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/39698/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে স্ত্রী এখানে স্বামীর দিকে ঈঙ্গিত করে তালাক দিয়েছে,সুতরাং এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

হ্যাঁ যদি স্ত্রী নিজের দিকে ঈঙ্গিত করে তালাক দেয়,তাহলে এক্ষেত্রে তালাক হবে।

(০২)
এতে আপনাদের বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবেনা।

(০৩)
না,তালাক হয়না।
তবে তালাকের মজলিস হলে বা মুযাকারায়ে তালাক হলে তথা তালাকের আলোচনা চলাকালীন নির্দিষ্ট কিছু কেনায়া বাক্য বললে নিয়ত ছাড়াই তালাক হয়।

(০৪)
যদি মাঝে তালাক ছাড়া অন্য আলোচনা শুরু করে দেয়,তাহলে এতে তালাক হবেনা।

(০৫)
হ্যাঁ,তালাক হবেনা,এটি বলা হয়েছে।

(০৬)
উপরের কথা দ্বারা তালাক হবেনা।

(০৭)
এক্ষেত্রে এ কথাটা,দ্বারা তালাক হবেনা।

(০৮)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৯)
এসব বাক্য বললে তালাক হবেনা।
এগুলো কেনায়া বাক্য নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...