জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
উহ্-আহ্ শব্দ করা।
শরীয়তের বিধান হলো নামাজরত অবস্থায় কোনো ব্যথা কিংবা দুঃখের কারণে উহ্-আহ্ শব্দ করলে নামাজ ভেঙে যাবে। (আদ্দুররুল মুখতার ১/৬১৯, আল বাহরুর রায়েক ২/৪, মারাকিল ফালাহ ১/১২১।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
(০২)
নামাজে শব্দ করে হাসা। নামাজে শব্দ করে অট্টহাসি দিলে ওজুসহ ভেঙে যায়। (কানযুদ্দাকায়েক ১/১৪০)
★সুতরাং উক্ত থুথুর শব্দ যদি নিজে শুনতে পারে,তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
,
(০৩)
নামাজের ভেতর কথা বলা।
নামাজে এমন কোনো অর্থবোধক শব্দ করা, যা সাধারণ কথার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। (হোক সেটা এক অক্ষর বা দুই অক্ষরে ঘটিত) তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬১৩, আল বাহরুর রায়েক : ২/২)
মুআবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস সুলামি (রা.) নওমুসলিম অবস্থায় নামাজে কথা বললে রাসুল (সা.) নামাজের পর তাঁকে বলেন, ‘নামাজের মধ্যে কথাবার্তা ধরনের কিছু বলা যথোচিত নয়। বরং প্রয়োজনবশত তাসবিহ, তাকবির বা কোরআন পাঠ করতে হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৫৩৭)
,
সুতরাং আপনি যদি হুমম শব্দ শুনতে পান,তাহলেই নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
,
(০৪)
উক্ত নামাজ গুলোর কাযা অবশ্যই আদায় করতে হবে।
না জানার কারনে কোনো মাফ নেই।
,
নামাজে কান্না সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৫)
অর্থ বিকৃত হয়ে গেলে (লাহনে জলি হলে) নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
অন্যথায় নামাজ ভঙ্গ হবেনা।
,
(০৬)
উল্লেখিত সমস্ত ছুরতেই নামাজ ভেঙ্গে যাবে।