জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
কুরআন আল্লাহর কালাম বা বাণী। তা আল্লাহর সৃষ্টি জগতের অন্তর্ভুক্ত নয় বরং এটি তার যাত বা স্বত্বার এক অবিচ্ছেদ্য সিফত (বৈশিষ্ট্য)। সিফত বা গুণ-বৈশিষ্ট্য কখনো যাত বা স্বত্বা থেকে আলাদা হয় না।
আল্লাহ তা’আলা বলেন, “ নিশ্চয় এটা সম্মানিত কুরআন, যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে”। ( সুরা ওয়াকিয়াঃ৭৭-৭৮ )।
আল্লাহ আরও বলেন, ” আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না। ( সুরা কাহাফ-২৭)
আরো জানুনঃ-
আরবী দু'টি শব্দ রয়েছে।
(১)ক্বাদীম(২)হাদীস
দর্শন বিদ্যার আলোকে এই দু'টি শব্দের ব্যখ্যা নিম্নরূপ--
ক্বাদীম অর্থ,যা পুরাতন,অনেক পুরাতন।যার কোনো শুরু নেই।এবং যার শেষও নেই।অর্থাৎ যা চিরকাল থাকবে,তাকেই ক্বাদীম বলা হয়ে থাকে।
হাদীস অর্থ,যা নবসৃষ্ট,যাকে তৈরী করা হয়েছে।অর্থাৎ যার শুরু আছে।যার শুরু আছে,তার শেষও আছে।অর্থা যা চিরস্থায়ী নয়।একদিন যা শেষ হয়ে যাবে।
আল্লাহ এবং আল্লাহর সমস্ত সিফাত,ক্বাদীম।যা চিরঞ্জীবী, যার শুরুও নেই এবং শেষও নেই।আল্লাহ ব্যতীত সমস্ত জিনিষ হাদীস অর্থাৎ যার শুরু রয়েছে।আর যার শুরু রয়েছে,তার শেষও আছে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(০১)
কুরআনের ব্যাখ্যা সৃষ্ট।
(০২)
হাদীসের ব্যাখ্যা সৃষ্ট।
(০৩)
শানে নুযুল সৃষ্ট।