ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/14630/?show=14630#q14630 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ
রয়েছে যে,
ডা.নিশাত তাম্মিম
লিখেন,
বাহির থেকে কোনো
বস্তু দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার পর রোযা ভঙ্গ হবে কি না? এ সম্পর্কে মূলনীতিঃ
এ ব্যাপারে
ফকিহগণ একমত যে,ততক্ষণ পর্যন্ত রোযা ভঙ্গ
হবে না,যতক্ষণ না পাঁচটি বস্তু
একত্রিত হচ্ছে।অর্থাৎ কোন বস্তু দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেই রোযা ভঙ্গ হয়না ,যে পর্যন্ত নিন্মোল্লিখিত পাঁচটি জিনিষ পাওয়া
যাচ্ছে।
হানাফী ফিক্বহের
উসূল-
১। বস্তুকণার
বৈশিষ্ট্যঃ দৃশ্যমান হওয়া, ছোট-বড়, পুষ্টিকর-অপুষ্টিকর যাই হোক।
২। গ্রহণযোগ্য
পদ্ধতিঃ গন্তব্যে স্থায়ীভাবে অবস্থান করা।(বাদায়ে সানায়ে-২/২২৭)
৩। বস্তুকণার
প্রবেশপথঃ মুখ, নাক, মলদ্বার। (চোখ, কান, মূত্রনালী,
যোনীপথ, ত্বক, লোমকূপ ইত্যাদি
গ্রহণোযগ্য প্রবেশপথ নয়।
৪। বস্তুকণার
গন্তব্যঃ গলা, পাকস্থলী, অন্ত্র। (ইতোপুর্বে মস্তিষ্ককেও অন্তর্ভুক্ত
করা হতো, কিন্তু পরবর্তীতে
চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে জানা গিয়েছে যে,
খাবার সরাসরি
মস্তিষ্কে পৌঁছে না, তাই এটিকে গন্তব্য থেক
বাদ দেয়া হয়েছে।)
৫। প্রতিবন্ধকঃ
ভুলে অথবা আধিক্যের কারণে বস্তুকণা প্রবেশ করলে রোযা ফাসিদ হবে না। যেমন- কেউ ভুলে
কোন ঔষধ খেয়ে ফেললো কিংবা ধোয়া ও ধূলাবালির আধিক্যের কারণে তা নাক-মুখ দিয়ে
প্রবেশ করলো,তাহলে এমতাবস্থায় রোযা
ভঙ্গ হবে না।
সাউদী স্থায়ী কমিটির
ফতোয়ার মূলনীতি-
১। দৃশ্যমান
বস্তুকণা মুখ অথবা নাক দিয়ে প্রবেশ করে পাকস্থলীতে পৌঁছা। অবস্থান করা জরুরী নয়
(ইমাম আহমাদ, ইমাম মালিক, ইমাম শাফেঈ রহ.)।
২। শক্তিবর্ধক বা
পুষ্টিকর বস্তু যেকোন পথে প্রবেশ করিয়ে দেহের শক্তিবর্ধন করা হলে (যেমন- শিরাপথে
স্যালাইন), কিংবা শক্তিবর্ধক বস্তু
ইচ্ছাকৃতভাবে দেহ থেকে অধিক পরিমাণে বের করে শক্তি হ্রাস করা হলে। যেমন- হিজামা, রক্তদান ইত্যাদি। । (ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ.)
৩। প্রতিবন্ধকঃ
ভুলে, অনিচ্ছায়, বাধ্য হয়ে,
না জানার কারণে
বস্তুকণা প্রবেশ করলে রোযা ফাসিদ হবে না।
বিস্তারিত জানতে
ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/14452
রোজার কাফফারা- https://ifatwa.info/14154/?show=14154#q14154
একাধিক রোজা ইচ্ছাকৃদ ভঙ্গ করলে কয়টা কাফফারা আসবে-
https://ifatwa.info/12593/
আতরের ঘ্রান নিলে রোজা ভেঙ্গে যাবে কি- https://ifatwa.info/14630/?show=14630#q14630
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
না, ন্যাপথলিনের
ঘ্রাণ ইচ্ছাকৃত ভাবে নিলেও রোজা ভঙ্গ হবে না। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত
রোজার কাফফারা দেওয়া লাগবে না।