আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in পবিত্রতা (Purity) by (40 points)
আসসালামুয়ালাইকুম

আমি দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে নাপাকি নিয়ে সন্দেহে আছি। আমার আশেপাশের সবকিছুই আমার নাপাক মনে হয়। কিছু প্রশ্ন ছিল,

*শরীরে নাপাকি মিশ্রিত পানি বা নাপাক ধোয়া পানি লাগলে তা কয়বার ধুলে তা পাক হবে? আমি সন্দেহের শিকার হয়ে অনেক সময় ধরে ধুতে থাকি যা সময় এবং পানি উভয়ই অপচয় করে।

*নাপাক কাপড় যদি যথেষ্ট পানি দিয়ে ধোঁয়া হয় তাও কি তা নিংড়ানো ছাড়া পাক হয় না?

*হাত দিয়ে সরাসরি নাপাক ধরা হলে সেই হাত পাক করতে আনুমানিক ঠিক কয়বার সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়া উচিত? এবং নাপাকি পায়ে লাগলে কয়বার ধুলে তা পাক হবে? বারবার ধোঁয়ার পরও মনে হয় নাপাকি লেগে আছে,এই সন্দেহ দূর করবো কিভাবে?

*প্লাস্টিকের জিনিসে নাপাক কাপড় ধোয়ার পানি লাগলে শুধু কি জিনিসগুলো পানি দ্বারা ধুলেই পাক হবে নাকি ঘষতে হবে?

আর জিনিসগুলো কয়বার ধুলে তা পাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/53525/  নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

১. কাপড় প্রবাহিত পানিতে মানে ট্যাপের পানিতে ধোয়ার নিংড়ানোর সময় হাতে যে পানি লাগে, হাতে সেই কাপড় থাকা অবস্থাতেই সেই পানি সেই কাপড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হবে না। কেননা প্রবাহিত পানিতে তিনবার ধৌত করা লাগে না এবং যে পানি হাতে লাগে, সেই পানিও নাপাক নয়।

২. কাপড় নিংড়ানোর সময় কিছু পানি হাতের তালু বেয়ে কনুই পর্যন্ত নেমে আসে। কাপড় ঘুরিয়ে পেচিয়ে নিংড়ানোর সময় সেই পানি থাকা অবস্থায় হাতে কাপড় সামান্য ছোয়া লাগে। যদি তা প্রবাহিত পানিতে কাপড় ধৌত করার পর হয়ে থাকে, তাহলে তা পবিত্র, নতুবা অপবিত্র হিসেবে বিবেচিত হবে।

إنْ غَسَلَ ثَلَاثًا فَعَصَرَ فِي كُلِّ مَرَّةٍ ثُمَّ تَقَاطَرَتْ مِنْهُ قَطْرَةٌ فَأَصَابَتْ شَيْئًا إنْ عَصَرَهُ فِي الْمَرَّةِ الثَّالِثَةِ وَبَالَغَ فِيهِ بِحَيْثُ لَوْ عَصَرَهُ لَا يَسِيلُ مِنْهُ الْمَاءُ فَالثَّوْبُ وَالْيَدُ وَمَا تَقَاطَرَ طَاهِرٌ وَإِلَّا فَالْكُلُّ نَجِسٌ. هَكَذَا فِي الْمُحِيطِ.

যদি কেউ কাপড়কে তিনবার ধৌত করে, এবং প্রত্যেকবার নিংড়ায়, অতঃপর কাপড় থেকে পানির ফোটা কোনো জিনিষে পড়ে, যদি তৃতীয়বার ভালভাবে নিংড়ানো হয়ে থাকে, এমনভাবে যে এরপর আর নিংড়ালে কোনো পানি বের হবে না,তাহলে কাপড় থেকে যে পানি পড়বে,সেই পানি ও কাপড় এবং হাত কোনো কিছুই নাপাক বলে বিবেচিত হবে না। আর যদি নিংড়ানো না হয়ে থাকে, তাহলে তিনবার ধৌত করার পরও কাপড় থেকে ফোট ফোটা করে পরে যাওয়া পানি নাপাক বলেই গণ্য হবে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/23740

পাক-নাপাক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/53602/ 

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

. ভালোভাবে একবার ধৌত করার মাধ্যমেও যদি নাপাকি চলে যায় তাহলেও পাক হয়ে যাবে এবং যথেষ্ট হবে

. পেশাব বা এ জাতীয় কোন  তরল নাপাক কাপড়ে লাগলে  তিন বার উত্তমরূপে নিংড়িয়ে ধৌত করতে হবে; যদি তা কোন পাত্রে ধৌত করা হয়। আর যদি প্রবাহিত পানি বা পুকুর অথবা নদীতে পুরো কাপড় চুবিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সেক্ষেত্রে তিনবারের অনিবার্য কোন শর্ত নেই। ফিকহুল ইবাদাহ-তাহারাহ অধ্যায়: পৃ ৬৮

৩. ভালোভাবে ধৌত করার মাধ্যমে নাপাকি দূর করে ফেললেও হাত পাক হয়ে যাবে। যদিও তা একবার ধৌত করার মাধ্যেমে হোক না কেন। আর এই ক্ষেত্রে সাবান দিয়ে ধৌত করা শর্ত নয়। শুধু পানি দিয়ে ধৌত করলেই হবে।

৪. পানি দ্বারা ভালোভাবে ধুলেই তা পাক হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 133 views
...