আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
380 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (72 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম
সরাসরি প্রশ্নে আসছি

ঘটনা ১. ১মাস আগের ঘটনা আমার  আবছা মনে আছে

বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম তো একদিন আমার স্বামীর সাথে ফোনে কথা বলছিলাম ঘরের কোন এক ব্যাপারে কথা বলার এক পর্যায়ে রাগারাগি হলে বলে তোমাকে মুক্ত করে দিলাম,তুমি স্বাধীন lawyer এর সাথে কথা বলেছি। এরপর ফোনটা রেখে দেয়।আমি কিছুক্ষণ পরে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম তুমি কি নিয়ত করে বলেছো অথবা এটা কি সত্যি।

বলে এই ব্যাপারে কথা বলতে চায় না।স্বাভাবিকভাবেই টপিক চেঞ্জ করে অন্য কথা বলে ব্যস্ত আছে বলে ফোনটা রেখে দেয়

আমি আবার পরের দিন ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করি বরাবরের মতোই ওই কথার উত্তর দিতে চায় না।তাই আমিও আর জোর করিনি।

ঘটনা ২.আজকের ঘটনা, সবকাজ শেষ করে যখন বিকেলে একটু শুতে আসলাম তখন বলে আমার কাপড় আয়রন করে দাও আকদে যাব

আমি বললাম আয়রন করা আছে ওখান থেকে একটা পরে যাও অথবা কোনটা পরে যাবে আগে বলে রাখতে আমি আয়রন করে রাখতাম। এক পর্যায়ে অনেক রেগে গিয়ে বলে তুমি চলে যাও, এইসব কাজের জন্য আমার ভাবতে হলে তোমাকে বিয়ে করছি কেনো?

এমতাবস্থায় আমি চুপ ছিলাম পরিবেশ আরো উত্তপ্ত হবে ভেবে

এখন চিন্তা হচ্ছে
আমি বেশকিছুদিন আগেই জানতে পেরেছি এইসব কথা কেনায়া তালাকের অন্তর্ভুক্ত এবং এইসব বলার পরে যতবারই তাকে জিজ্ঞেস করি তোমার কি কোন নিয়ত ছিল এসব বলার ব্যাপারে
তার উত্তর সবসময় একটা সেটা হলো -না

এটাও বলে তুমি জানো আমি নিয়ত করে বলি কিনা বলিনা
মানে সে বুঝাতে চাই তার মনের মধ্যে আমাকে ছাড়ার কোন ইচ্ছা নাই
কথাগুলো শুধু রাগ হলেই বলে

এটাও বলে রাগের মাথায় তো মানুষ অনেক কিছু বলবে
আমি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করি সবসময় হাজার রাগ হলেও এইরকম শব্দ ব্যবহার না করার জন্য

আরো একটা বিষয় জানার ছিল (৬মাস আগের ঘটনা)
আমাদের স্বামীস্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল এবং আমার স্বামী আমার গায়ে হাত তুলেছিল
আমি আমার মা বাবাকে কথাটা জানাই মা আমার শাশুড়বাড়ি এসেছিলেন একদিন কিছু উপহার নিয়ে এবং এটাও বলি ওর সাথে থাকব না আমাকে নিয়ে যেতে নাহয় আমি মরে যাব তারপর ফোন রেখে দেই

আবার পরেরদিন সকালবেলা আমার মাকে ফোন দিয়ে বলেছি আমাকে এসে নিয়ে যেতে থাকব না এখানে আমি

বিচ্ছেদের উদ্দেশ্য নিয়েই বলেছিলাম কথাটা (আসগফিরুল্লাহ)

রাগের মাথায় বলেছিলাম
সেদিন আমার মায়ের আমার শাশুড়বাড়ি আসার কথা ছিল কিছু উপহার নিয়ে
কিন্তু আমার স্বামী জানত না কেন আসতেছে
আমার স্বামী এটা শুনে বলে তোমার মা আসলে তোমাকে আমি রাখব না
আমার মা আসাতে কি আমার উপর তালাকের শর্ত আরোপ হয়েছিল?(আমার মা আমাকে নেয়ার উদ্দেশ্য আসে নাই সেদিন)

সেদিন কথা কাটাকাটির সময় আমার স্বামী আমার মায়ের সামনে বলেছেন তুমি তোমার মায়ের সাথে চলে যেতে পারো/ যাও( ঠিক মনে নেই) তখন আম্মু বলেছিল আমি তো ওকে নিতে আসি নাই

আমার মায়ের সামনে অনেক কথা কাটাকাটি হয়েছিল আমাদের দুইজনের। আমার স্বামী আমার মাকে বলেছিল নিয়ে যান ওকে সাথে করে। আমার ইচ্ছা/অনিচ্ছা হয়ত দুইটাই ছিল চলে যাওয়ার কিন্তু বেশ আগের ঘটনা ঠিকমত মনেও পরছে না

এটা কি তালাকের মজলিস গণ্য হবে?

আমার স্বামীর এমন কথা দ্বারা কি তালাক পতিত হয়েছে????

এইসব ব্যাপারে আমার স্বামীর বা আমার কারোই কোন জ্ঞান ছিল না
আমার টুকটাক জ্ঞান হয়েছে কিন্তু আমার স্বামী এইসব ব্যাপারে এখনো জানেনা
তাকে বললে বলে আমি তোমাকে এত কষ্ট করে বিয়ে করেছি ছেড়ে দেয়ার জন্য না
খুবই মানসিক অশান্তিতে আছি

অসুস্থ হয়ে পরছি এইসব চিন্তা করে করে

দয়া করে উত্তর দিবেন

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাগের অবস্থা
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী) (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1049

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রাগের মুহূর্তে তালাকের নিয়ত ব্যতিত কেনায়া শব্দ দ্বারা তালাক পতিত হয় না। সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবে না।হ্যা, স্বামীর তালাকের নিয়ত থাকলে অবশ্যই তালাক হবে।স্বামীকে জিজ্ঞাসা করার পরও কিছু না বললে, আপনার দায়িত্ব শেষ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।উত্তর অবশ্যই পাবেন।হয়তো সময়ে কিছু তারতম্য হতে পারে।
by (72 points)
শায়েখ আমি কিছু কথা যোগ করেছি সেগুলোকি পড়েছেন।
যদি না পড়ে থাকেন শায়খ আবার জানাবেন দয়া করে
আমরা দৈনন্দিন জীবনে দুষ্টামি করে বা রাগ করে একে অপরকে অনেক কেনায়া শব্দ বলে ফেলি (অজ্ঞাত বসত)
প্রায় কথায় মনে নেই শুধু সেগুলোই মনে আছে যেদিন খুব খারাপভাবে ঝগড়া হত
আমার ইদানীংকালে একটু জ্ঞান হয়েছে এই ব্যাপারে কিন্তু আমার স্বামীর জ্ঞান শূন্যে 
আমার স্বামী রাগ হলে বলে তোমার কাবিনের টাকা তোমাকে দিয়ে দিব
চলে যাও এগুলোও কি কেনায়া শব্দের অন্তর্ভুক্ত? 


by (583,410 points)
নিয়ত ব্যতিত কেনায়া শব্দ দ্বারা তালাক হবে না। 
by (72 points)
হুজুর পোস্ট টি এডিট করা হয়েছিল আপনি হয়ত খেয়াল করেননি 
দয়া করে পুনরায় পড়ে উত্তর দিলে উপকার হয় 
জাযাকাল্লাহ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...