ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বর্তমানে জেনারেল শিক্ষার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে,
যেমন ইবনে আবেদীন শামী রাহ,কতটুকু জ্ঞানার্জন ফরযে কেফায়া শীর্ষক আলোচনা করতে যেয়ে এক পর্যায়ে বলেনঃ
وَأَمَّا فَرْضُ الْكِفَايَةِ مِنْ الْعِلْمِ، فَهُوَ كُلُّ عِلْمٍ لَا يُسْتَغْنَى عَنْهُ فِي قِوَامِ أُمُورِ الدُّنْيَا كَالطِّبِّ وَالْحِسَابِ.........................إلي أن قال............................................................................... وَالْعِلْمِ بِأَعْمَارِهِمْ وَأُصُولِ الصِّنَاعَاتِ وَالْفِلَاحَةِ كَالْحِيَاكَةِ وَالسِّيَاسَةِ وَالْحِجَامَةِ.
ফরযে কেফায়া মূলক জ্ঞানার্জন হচ্ছে।
(কেফায়া মানে যা কিছুসংখ্যক মুসলমান আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যায়)
ঐ সমস্ত জ্ঞান যা পৃথিবীতে জীবনাতিপাতের ভিত্তি যেমনঃচিকিৎসাবিজ্ঞান,হিসাববিজ্ঞান,............
এবং শিল্পবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, র্রাষ্টবিজ্ঞান,ও হেজমাত তথা তৎকালিন এক প্রকার চিকিৎসাবিজ্ঞান।
(দ্বীনের ফরয জ্ঞানার্জনের পর যা অর্জন করা কিছু সংখ্যক মুসলমানের উপর ফরয)
রদ্দুল মুহতার,১/৪২; এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/434
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
দুনিয়াবি যে সব পড়াশোনার বিষয় আছে,সেগুলোতে পড়াশোনা করাও ইবাদত হবে,যদি সেগুলো অর্জনের উদ্দেশ্য ইসলাম ও মুসলমানের খেদমত হয়।
(২)
লোক দেখানো বা দুনিয়াবি লাভের কারণে হলে, সেগুলোর অর্জন ইবাদত হবে না ঠিক তবে তা শিরক বা কুফুরি হবে না।
(৩)
একে অপরেরে খোজ খবর নেওয়াও ইবাদত যদি তা আল্লাহর জন্য হয়ে থাকে।তবে যদি আল্লাহর জন্য না হয়,তাহলে তা ইবাদত হবে না।তবে শিরক বা কুফুরি হবে না।
(৪)
কাউকে ভালো কাজে সাহায্য করাও ইবাদত যদি আল্লাহর জন্য হয়ে থাকে।তবে যদি আল্লাহর জন্য না হয়,তাহলে তা ইবাদত হবে না ঠিক তবে সেগুলো শিরক বা কুফুরি হবে না।
(৫)
প্রশ্নটি বুঝিনি।কমেন্টে পরিস্কার করে উল্লেখ করবেন।
(৬)
না, কাফির হবে না।