আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু 'আলাইকুম। আমি বেশ কয়েক মাস ধরে ওয়াসওয়াসার সমস্যায় ভুগছি। মানে এটা যে কেও শুনলে ওয়াসওয়াসা ই বলবে। কিন্তু সবসময় হয়তো ওয়াসওয়াসা না। আমার অযু রাখতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। অযু করলেই আমার বায়ু বের হয়ে যাওয়ার ভয় শুরু হয়। নামাজেও অনেক সময় স্বাভাবিক থাকতে পারিনা এই ভয়ে। ব্যাপারটা এমন না যে এটা শুধু আমার মনের ভয়। অনেক সময় সত্যিই বায়ু বের হয়ে যায়,অনেক সময় আমি শিওর হতে পারিনা। খুবই দোদুল্যমান অবস্থায় থাকি। আমি আপনাকে বুঝাতে পারছিনা অযু নিয়ে আমি কি পেরেশানিতে আছি। এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আরেক ওয়াক্ত নামাজ আমি আগের অযু দিয়ে পড়বো এই সাহসই করতে পারিনা। আজকে যেমন আমার আসর নামাজে দাড়াতে একটু দেরি হয়ে গেছে। ৪ রাকাআত এর বৈঠকে সালাম ফিরানোর একটু আগেই মনে হলো বায়ু বের হয়ে গেছে। তখন সূর্য ও ডুবে যাচ্ছিলো,আমি বুঝতে পারছিলাম না নামাজ কি আবার পড়বো কিনা। এরকম প্রায়ই হয়। বেশিরভাগ নামাজের ক্ষেত্রেই আমার এমন প্রব্লেম ফেস করতে হয়। তাহাজ্জুদের জন্য উঠেছিলাম। তখন থেকে ফজর শেষ করা পর্যন্ত ৩ বার ওযু করেছি।

আমাকে কাইন্ডলি একটু সলিউশন দিবেন আমি কি করবো। এই সমস্যার কারণে আমি একটু সুকূন নিয়ে নামাজ পড়তে পারিনা। মাঝে মাঝে অনেক কান্না আসে। কি করবো বুঝতে পারছিনা।।

আমার সাদা স্রাবের সমস্যা ও আছে। সারা মাসেই মোটামুটি সমান পরিমাণে যায়। অনেক বেশিই ভাঙে। ডাক্তার দেখিয়েছি অনেক। কোনো লাভ হয়নি। উনারা বলে এটা স্বাভাবিক। অনেক সময় সারাদিন এক ফ্লো তে যায়,অনেক সময় দিনের এক সময় বেশি,আরেকসময় কম। এরকম। আমি প্রতি ওয়াক্তেই অযু করে নেই। কিন্তু কোথাও যাওয়ার সময় অযু করে নিতে যাইলে অযু রাখতে পারিনা। কারণ  হাটার সময় আবার সাদা স্রাব ভাঙে।এক্ষেত্রে কী আমি ঐ অযু দিয়ে নামাজ পড়তে পারবো?  অনেক সময় নামাজে দাড়ালে সাদা স্রাব বের হচ্ছে এরকম ওয়াসওয়াসা ও কাজ করে,তখন নামাজ ছেড়ে দেয়ার পরে বুঝতে পারি যে সাদা স্রাব আসলে যায়নি। আবার অনেক সময় সত্যিই যায়। পায়জামা পালটে নামাজ পড়ি। দেখা যায় সেই পায়জামাতেও সাদা স্রাব লেগে যায়। ( এটা মাঝে মাঝে)।

আমার বেশিরভাগ সময়েই সাদা স্রাব ভাঙে বেশি পরিমাণেই।
এক্ষেত্রে আমার ওযুর বিধান কি হবে একটু জানাবেন প্লিজ। আমি অনেক পেরেশানিতে থাকি এগুলা নিয়ে। আফওয়ান। অনেক বড় করে ফেলেছি প্রশ্ন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি পবিত্রই থাকবেন,যতক্ষণ না বায়ূর নিশ্চিত আওয়াজ শুনছেন বা এর দুর্গন্ধ নাকে আসছে।শুধুমাত্র সন্দেহ হওয়ার দরুণ আপনার অজু ভঙ্গ হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3925

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত হাদীসের ব্যখ্যা হল, বায়ূ নির্গত হওয়ার সম্ভাবনার দরুণ অজু ভঙ্গ হবে না। যতক্ষণ না দু’টি জিনিষের একটি পাওয়া যাবে, হয়তো বায়ূর আওয়াজ শুনতে হবে, অথবা বায়ুর দুর্গন্ধ নাকে আসতে হবে।

স্রাব সমস্যা
আপনি টিস্যু লজ্জাস্থানে রাখবেন। নামাযের পূর্বে টিস্যু চেক করবেন, যদি টিস্যু ভিজে যায়, তাহলে বুঝতে হবে, স্রাব নির্গত হয়েছে। অজু ভঙ্গ হয়ে গেছে।

যদি সর্বদাই এভাবে সাদাস্রাব নির্গত হয়, তাহলে আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন।তখন প্রতি ওয়াক্তের জন্য একটি অজুই যথেষ্ট হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 137 views
...