আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।৪ টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েন দয়া করে।

১।ifatwa.info/56242/

লিন্কের ৩নং প্রশ্নটা আপনি বলেছিলেন জিগ্যেস করতে স্বামীকে

স্ত্রী জিগ্যেস করেছে স্বামীকে ফোনে। স্ত্রী বলেছে আমি আগে তালাক চাইতাম যে আর আপনাকে বলতাম যে কাজীকে ফোন করে বল ডিভোর্সের পেপার তৈরী করতে? আপনি কি ফোন করেছিলেন? স্বামী বলে না করি নাই।এখানে স্ত্রীকে পাওয়ার দিলেও স্ত্রী এসবের বিষয়ে কিছু জানত না যে মেয়েরাও তালাক দিতে পারে সেটা।মেয়েটা নিজেকে কোনদিন তালাক দেয় নি।তহ এরকম না জেনে স্ত্রী স্বামীর দিকে ইন্গিত করে তালাক দিলেও তালাক হয় না বলেছিল ওলি উল্লাহ হুজুর, পাওয়ার দিলেও।আর স্ত্রী তহ স্বামীকে বলেছে কাজীকে ফোন করতে।সে নিজেকে তালাক দেয় নি জানতও না সে যে ইসলামে মেয়েরাও এমন পাওয়ার পায় শুনেও নি।সে মানে মেয়েটা নিজের দিকে ইন্গিত করে কিছু বলে নি।ওরা একসাথে থাকতে চায়।সব কথা ফোনে।তহ উপরোক্ত স্বামী স্ত্রীর কথা বা আলাপ আলোচনার  দ্বারা কি কোন তালাক হবে?

২।উপরের স্বামীকে জিগ্যেস করে কল কেটে দেওয়ার সময়,কি বলছিল সেটা খেয়াল করে নি স্ত্রী। তহ বার বার স্বামীকে মেসেজে জিগ্যেস করেছে স্ত্রী কিছু বলেছিল কিনা। স্বামী রেগে গিয়ে বলতেছে মেসেজে আমার বউটা শুধু আমি ডিভোর্স  দিয়ে ফেলতাম বলতেছ যে নে? স্ত্রী বলে না না।মাথা খারাপ করিও না।মাথা খারাপ করে দিছ।বার বার জিগ্যেস করে।দেখ যে না আমি ছেড়ে দি কিনা,স্ত্রী বলে না না।স্ত্রী বলে আর জিগ্যেস করব না।স্বামী বলে আমি মরে গেলে জিগ্যেস করবে না যে।স্ত্রী বলে না কসম করব না।স্বামী বলে এত সন্দেহ নিয়ে থাকিও না।স্ত্রী মনে করছে চলে যেতে বলেছে।স্ত্রী বলে কিজন্য বলেছেন ওটা মানে সন্দেহ নিয়ে থাকিও না বলেছে যে ওটা?।তহ স্ত্রী বলে আমার মৃত্যু চান যে নে? স্বামী বলে আবার মাথার খারাপ করিও না।স্ত্রী বলে অকে।স্বামী বলে মনে সন্দেহ না রাখতে বলছি যে।তহ স্ত্রী আর কিছু জিগ্যেস করে নি।সব কথা মেসেজে। এখানে স্বামীর কথার দ্বারা কি তালাক হবে?

৩।স্বামী রেগে যায় এসব কথা বললে।বার বার বলে জিগ্যেস না করতে।তাই স্বামীকে কি আর জিগ্যেস করা উচিত হবে?

৪।স্ত্রীর  মনে আরেকটা প্রশ্ন নিয়ে সন্দেহ আসতেছে খুব।মানে মনে পরতেছে না আর কি।ঠিকি তালাকের বিষয়ে।স্ত্রীর  মনে হচ্ছে স্বামীর ও মনে থাকবে না।অনেক আগের প্রশ্ন।মানে এক বছর আগের।স্ত্রীর মনে হচ্ছে একটার সাথে আরেকটা গুলিয়ে যাচ্ছে।স্বামীর ও তেমন মনে থাকে না কিছু।স্ত্রীর প্রশ্ন করতে ভয় লাগতেছে  স্বামীকে।কারন স্বামী রেগে যায়।আর ২নং প্রশ্নে তহ বল্লাম স্বামী কি কি বলেছে।স্ত্রী আর রিস্ক নিতে চাচ্ছে না জিগ্যেস করে।জানে না স্বামীর মনে আছে কিনা স্ত্রী।স্ত্রীর মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছিল যে মানে আগে  মেসেজে তালাকের আলোচনা ওটার সময় কি বলেছিল সেটা নিয়ে।মনে নেয় কি বলেছিল।স্ত্রীর মনে হচ্ছে কেনায়া শব্দ বলে নি।আবার মাঝে মাঝে ভয় হয় বলেছিল কিনা কোন।এটা নিয়ে টেনশনে ভুগতেছে,মনে পরতেছে না ওর। হয়ত স্বামীর ও মনে না থাকতে পারে আগের কথা তাও মেসেজের।।স্ত্রীর মনে হচ্ছে আর কি স্বামীর ও মনে না থাকতে পারে,জানে না সে।স্বামীও খুব রেগে গেছে একটা প্রশ্ন জিগ্যেস করার পর।জিগ্যেস করলে ভুলভাল বলবে মনে করে ভয় লাগে স্ত্রীর।ওরা আগে কেনায়া তালাকের ব্যপারে জানত না কিছু ।তহ এরকম সন্দেহের প্রশ্নটা স্বামীকে জিগ্যেস না করলে কি কোন সমস্যা বা গুণাহ  হবে সারাজীবন ?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনার প্রশ্নগুলো সম্পূর্ণ অস্পষ্ট।কয়েকবার পড়েও পরিপূর্ণ বুঝিনি। যা বুঝেছি, সেই আলোকে বলছি,
যেহেতু আপনার লিখা প্রশ্ন, তাই নিশ্চয় আপনি বুঝবেন। সেজন্য আপনার লিখা প্রশ্নকেই হুবহু কপি করে দিচ্ছি,

স্ত্রী জিগ্যেস করেছে স্বামীকে। স্ত্রী বলেছে আমি আগে তালাক চাইতাম যে আর আপনাকে বলতাম যে কাজীকে ফোন করে বল ডিভোর্সের পেপার তৈরী করতে? আপনি কি ফোন করেছিলেন? স্বামী বলে না করি নাই।এখানে স্ত্রীকে পাওয়ার দিলেও স্ত্রী এসবের বিষয়ে কিছু জানত না যে মেয়েরাও তালাক দিতে পারে সেটা।মেয়েটা নিজেকে কোনদিন তালাক দেয় নি।তহ এরকম না জেনে স্ত্রী স্বামীর দিকে ইন্গিত করে তালাক দিলেও তালাক হয় না বলেছিল ওলি উল্লাহ হুজুর, পাওয়ার দিলেও।আর স্ত্রী তহ স্বামীকে বলেছে কাজীকে ফোন করতে।সে নিজেকে তালাক দেয় নি জানতও না সে যে ইসলামে মেয়েরাও এমন পাওয়ার পায় শুনেও নি।সে মানে মেয়েটা নিজের দিকে ইন্গিত করে কিছু বলে নি।ওরা একসাথে থাকতে চায়।তহ উপরোক্ত স্বামী স্ত্রীর কথা বা আলাপ আলোচনার  দ্বারা কোন তালাক হবে না।

২।উপরের স্বামীকে জিগ্যেস করে কল কেটে দেওয়ার সময়,কি বলছিল সেটা খেয়াল করে নি স্ত্রী। তহ বার বার স্বামীকে মেসেজে জিগ্যেস করেছে স্ত্রী কিছু বলেছিল কিনা। স্বামী রেগে গিয়ে বলতেছে মেসেজে আমার বউটা শুধু আমি ডিভোর্স  দিয়ে ফেলতাম বলতেছ যে নে? স্ত্রী বলে না না।মাথা খারাপ করিও না।মাথা খারাপ করে দিছ।বার বার জিগ্যেস করে।দেখ যে না আমি ছেড়ে দি কিনা,স্ত্রী বলে না না।স্ত্রী বলে আর জিগ্যেস করব না।স্বামী বলে আমি মরে গেলে জিগ্যেস করবে না যে।স্ত্রী বলে না কসম করব না।স্বামী বলে এত সন্দেহ নিয়ে থাকিও না।স্ত্রী মনে করছে চলে যেতে বলেছে।স্ত্রী বলে কিজন্য বলেছেন ওটা মানে সন্দেহ নিয়ে থাকিও না বলেছে যে ওটা?।তহ স্ত্রী বলে আমার মৃত্যু চান যে নে? স্বামী বলে আবার মাথার খারাপ করিও না।স্ত্রী বলে অকে।স্বামী বলে মনে সন্দেহ না রাখতে বলছি যে।তহ স্ত্রী আর কিছু জিগ্যেস করে নি। এখানে স্বামীর কথার দ্বারা  তালাক হবে না।

৩।স্বামী রেগে যায় এসব কথা বললে।বার বার বলে জিগ্যেস না করতে।তাই স্বামীকে আর জিগ্যেস করা উচিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...