بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/5372/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীয়তের বিধান মতে এক্ষেত্রে যদি উক্ত রক্তের
পরিমান এক দিরহাম পরিমাণ হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ
নয়। কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায
পড়া জায়েজ আছে।
عن أبي هريرة رضي الله عنه
عن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم
(سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক
দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী,
হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী,
হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}
فلما ذكره صاحب الأسرار عن علي وبن مسعود أنهما قدرا
النجاسة بالدرهم وكفى بهما حجة في الاقتداء وروي عن عمر أيضا أنه قدره بظفره(عمدة
القارى شرح صحيح البخارى، كتاب الوضوء،
باب غسل الدم، رقم الحديث-227،3/140
হযরত আলী রাঃ এবং ইবনে মাসউদ রাঃ [কাপড়] নাপাক হওয়ার পরিমাণ
নির্দিষ্ট করেছেন এক দিরহাম। আর আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ নির্ধারণ করেছেন নখ পরিমাণ। {উমদাতুল কারী-৩/১৪০, আদিল্লাতুল
হানাফিয়্যাহ-১০১}
قال محمد فى الآثار: أخبرنا أبو حنيفة رح عن حماد عن
ابراهيم قال: إذا كان الدم قدر الدرهم والبول وغيره فأعد صلاتك، وإن كان أقل من
قدر الدرهم فأمض على صلاتك، ص-28) فإن قلت: هذا إنما يدل على عفو الأقل عن الدرهم
دون قدر الدرهم ومذهب الحنفية أوقدر الدرهم عفو ايضا، احاديث الإكتفاء بالأحجار فى
الإستنجاء تفيد كون قدر الدرهم عفو، لأن موضع الاستنجاء مقدر به، (اعلاء
السنن-1/405
এক দিরহাম নির্দিষ্ট করার সূরত হল, হাতের তালু সোজা করে রেখে
তার উপর এক ফোটা পানি ফেলা, হাত নড়ানো বা কাত করা ছাড়া যতটুকু
স্থান পরিব্যপ্ত হবে ততটুকুই হল এক দিরহামের আয়তন। এতটুকু পরিমাণ তরল গলীজ নাপাক হলে উক্ত কাপড়সহ নামায
আদায় জায়েজ হবে।
আর যদি গলীজ নাপাকটি শক্ত হয় , তাহলে এক দিরহামের ওজন
পরিমাণসহ নামায আদায় জায়েজ হবে। এক দিরহামের ওজনের পরিমান বর্তমানে প্রায় তিন গ্রাম।
{কানযুদ দাকায়েকের টিকা-১৫-১৬}
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে
যেহেতু বলা হয়েছে যে ""গেঞ্জী তে শুকিয়ে যাওয়া রক্তের পরিমান ১ ফোটার মত
হবে" সাধারণত সেটা এক দিরহাম থেকে কমই হয়,তাই উক্ত গেঞ্জি পরিধান করে নামাজ পড়া জায়েয
আছে। বিগত নামাজ গুলো আবার পড়ার দরকার নেই।
আর যদি সেটার পরিমান এক দিরহাম বা তার বেশি হয়,তাহলে সেই কাপড়ে
নামাজ পড়া জায়েয হবেনা। যতগুলো নামাজ উক্ত গেঞ্জি পরিধান করে আদায় করা হয়েছে,ভালো ভাবে হিসেব করে তত ওয়াক্তের নামাজ আবার আদায় করতে হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন !
প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে যদি আপনি নিশ্চিত থাকেন যে, আপনার শরীরের
একাধিক জায়গায় লেগে থাকা পেশাবের পরিমাণ এক দেরহামের থেকেও কম, তাহলে তা মাফ হবে ইনশাআল্লাহ।
এবং ঐ অবস্থায় আপনার জন্য নামাজ পড়া জায়েয আছে।