আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
622 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আমার বিয়ে হয়েছিল ইজাব কবুলের মাধ্যমে, কোনোরূপ রেজিষ্ট্রেশন করা হয়নি। পরবর্তী সময়ে কিছু কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নেই ডিভোর্সের। কিন্তু আমার স্বামী বলেছিলেন তিনি ডিভোর্স দিলে মোহরানা পরিশোধ করতে হবে, তাই চাচ্ছেন আমি যেন নিজেই নিজের উপর তালাক নিয়ে নেই।
 তিনি আমাকে কোনোরকম শর্ত ব্যতীত-ই তালাক নেওয়ার অধিকার দিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় আমি কয়েকমাস অপেক্ষা করে তারপর উনাকে মেসেজ করেছিলাম - "আপনি আমাকে তালাকের অধিকার প্রদান করেছেন কোনো শর্ত ছাড়াই। সেই অধিকারের দ্বারা আমি নিজের উপর তালাক পতিত করলাম।"
এভাবে ৩মাসে ৩টি মেসেজ করি একই কথা লিখে। এরপর ৩মাস ইদ্দত পালন করেছি। এভাবে তালাক হয়ে গেছে বলে তিনি মেনে নিয়েছেন এবং  কিছুদিন আগে জানতে পেরেছি তার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে।
আমার প্রশ্ন হলো - আমাদের তালাক কি কার্যকর হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে তাহলে কি কি পদক্ষেপ নিলে তালাক কার্যকর হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,440 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরয়ী বিধান হলো  স্ত্রী যদি স্বামী কর্তৃক তালাক দেওয়ার ক্ষমতা পায়,তাহলে স্ত্রী যদি বলে  যে আমি স্বামীর দেওয়া  ক্ষমতা বলে নিজেকে নিজে তালাক প্রদান করিলাম। 
তাহলে তালাক পতিত হবে। 
চাই সেটা মোবাইলে মেসেজেই বলুক,বা সামনা সামনি বলুক।
সব ছুরতেই তালাক পতিত হয়ে যাবে।  

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ   

وفي رد المحتار- وأنواعه ثلاثة : تفويض ، وتوكيل ، ورسالة وألفاظ التفويض ثلاثة : تخيير وأمر بيد ، ومشيئة .

( قال لها اختاري أو أمرك بيدك ينوي ) تفويض ( الطلاق ) لأنها كناية فلا يعملان بلا نية ( أو طلقي نفسك فلها أن تطلق في مجلس علمها به ) مشافهة أو إخبارا ( وإن طال ) يوما أو أكثر ما لم يوقته ويمضي الوقت قبل علمها ( ما لم تقم ) لتبدل مجلسها حقيقة ( أو ) حكما بأن ( تعمل ما يقطعه ) مما يدل على الإعراض لأنه تمليك فيتوقف على قبول في المجلس لا توكيل ، فلم يصح رجوعه ، حتى لو خيرها ثم حلف أن لا يطلقها فطلقت لم يحنث في الأصح ( لا ) تطلق ( بعده ) أي المجلس ( إلا إذا زاد ) في قوله طلقي نفسك وأخواته ( متى شئت أو متى ما شئت أو إذا شئت أو إذا ما شئت ) فلا يتقيد بالمجلس ( ولم يصح رجوعه ) لما مر (رد المحتار-كتاب الطلاق، باب تفويض الطلاق-4/452

যার সারমর্ম হলো স্ত্রীকে যদি স্বামী তালাক প্রদানের ক্ষমতা প্রদান করে,তাহলে সে চাইলে নিজেকে নিজে তালাক দিতে পারবে।
এটাকে তালাকে তাফবিজ বলে।

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ  

رَجُلٌ اسْتَكْتَبَ مِنْ رَجُلٍ آخَرَ إلَى امْرَأَتِهِ كِتَابًا بِطَلَاقِهَا وَقَرَأَهُ عَلَى الزَّوْجِ فَأَخَذَهُ وَطَوَاهُ وَخَتَمَ وَكَتَبَ فِي عُنْوَانِهِ وَبَعَثَ بِهِ إلَى امْرَأَتِهِ فَأَتَاهَا الْكِتَابُ وَأَقَرَّ الزَّوْجُ أَنَّهُ كِتَابُهُ فَإِنَّ الطَّلَاقَ يَقَعُ عَلَيْهَا(الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى الطلاق بالكتابة-1/379، رد المحتار، كتاب الطلاق، مطلب فى الطلاق بالكتابة-4/456، المحيط البرهانى، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-4/486، تاتارخانية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-3/380)
যার সারমর্ম হলো কেহ যদি কাহারো দ্বারা তালাক লিখে নিজ স্ত্রীর কাছে পত্র পাঠায়,এবং স্ত্রীর কাছে পৌছে,স্ত্রী বুঝে যে এটা তাহারই পত্র। 
তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।       

তালাক প্রাপ্তা মহিলার ইদ্দত শুরু হয়, তালাক সম্পন্ন হওয়ার পরবর্তী সময় থেকে তিন হায়েয পরিমাণ। তিন হায়েয শেষ হওয়ার আগে অন্য কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েয হবে না। 
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ
আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। (সূরা বাকারা-২২৮)

ইদ্দত সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন   
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ৩ তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে।
,
প্রথম তালাক থেকেই যেহেতু ইদ্দতের সময় শুরু হয়ে গিয়েছে,তাই সেই মহিলার ইদ্দত পালন শেষ। 
এখন সে অন্যত্রে বিবাহ বসতে পারবে।
কোনো সমস্যা নেই।        


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...