নামাজের শর্তগুলির মধ্যে অন্যতম একট শর্ত হলো নামাজের জায়গা পাক হওয়া।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ اِذۡ جَعَلۡنَا الۡبَیۡتَ مَثَابَۃً لِّلنَّاسِ وَ اَمۡنًا ؕ وَ اتَّخِذُوۡا مِنۡ مَّقَامِ اِبۡرٰہٖمَ مُصَلًّی ؕ وَ عَہِدۡنَاۤ اِلٰۤی اِبۡرٰہٖمَ وَ اِسۡمٰعِیۡلَ اَنۡ طَہِّرَا بَیۡتِیَ لِلطَّآئِفِیۡنَ وَ الۡعٰکِفِیۡنَ وَ الرُّکَّعِ السُّجُوۡدِ ﴿۱۲۵﴾
আর স্মরণ করুন, যখন আমরা কাবাঘরকে মানবজাতির মিলনকেন্দ্র ও নিরাপত্তাস্থল করেছিলাম এবং বলেছিলাম, তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ করো। আর ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ দিয়েছিলাম তাওয়াফকারী, ই’তিকাফকারী, রুকু’ ও সিজদাকারীদের জন্য আমার ঘরকে পবিত্র রাখতে।
(সুরা বাকারা ১২৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরীয়তের বিধান হলো নাপাক স্থানের উপর কাপড় বিছিয়ে নামায পড়লে নামায আদায় হয়ে যাবে। কোন সমস্যা নেই। সে হিসেবে জায়নামায বিছিয়ে নামায পড়লেও হয়ে যাবে।
(আল বাহরুর রায়েক-১/২৬৮.ফাতওয়ায়ে শামী-১/৬২৬)
لو بسط الثوب الطاهر على الأرض النجسة وصلى عليه جاز (البحر الرائق، كتاب الصلاة، باب شروط الصلاة-1/268)
সারমর্মঃ
কেহ যদি নাপাক জমিনের উপর পাক কাপড় বিছিয়ে দেয়,এবং তার উপর নামাজ আদায় করে,তাহলে জায়েজ আছে।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জায়নামাজ
যেহেতু নাপাক হয়নি,তাই ধোয়ার আবশ্যকীয়তা নেই।
★ময়লা হওয়ার কতদিন পর ধুয়ে ফেলতে হবে,এটি নির্ভর করে জায়নামাজ দূর্গন্ধ হয়ে যাওয়া ও আপনার রুচির উপর।
নাপাক হওয়ার আগ পর্যন্ত জায়নামাজ ধোয়ার উপর শরীয়তের কোনো আবশ্যকীয়তা নেই।