জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীসটি হলোঃ-
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو قُدَامَةَ الْحَارِثُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، عَنْ جُنْدُبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اقْرَءُوا الْقُرْآنَ مَا ائْتَلَفَتْ عَلَيْهِ قُلُوبُكُمْ فَإِذَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ فَقُومُوا " .
ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... জুনদুব ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কুরআন পাঠ করতে থাকো যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের হৃদয়ে তার প্রতি আকর্ষণ থাকে। আর যখন তোমরা তাতে মতভেদ করবে তখন উঠে যাবে।
(মুসলিম ৬৬৭০.ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৫৩৫, ইসলামিক সেন্টার ৬৫৮৭,বুখারী ৫০৬০, সহীহাহ্ ৩৯৯৩, দারিমী ৪৪২,মিশকাত ২১৯০।)
এই হাদীসের ব্যাখ্যা হলোঃ-
কুরআন পাঠের আদব হলো তা আগ্রহ ভরে তিলাওয়াত করা। মনের আকর্ষণ যতক্ষণ বিদ্যমান থাকে ততক্ষণ তিলাওয়াত করা দরকার। ইমাম ত্বীবী (রহঃ) বলেছেন, তোমরা প্রফুল্লতা সহকারে আনন্দচিত্তে কুরআন তিলাওয়াত কর। অতএব যখন তোমাদের অস্বস্তি চলে আসবে এবং অন্তর বিবিধ চিন্তা করবে তখন তোমরা তিলাওয়াত পরিত্যাগ কর। কেননা এটা অমনোযোগী হয়ে পড়ার চাইতে নিরাপদ।
(০২)
দীর্ঘক্ষন কুরআন পাঠের পর কারো ক্ষেত্রে এক ঘেয়ামি,অস্বস্তি চলে আসতে পারে।
এটি এখানে উদ্দেশ্য।
(০৩)
নিজের খালার মেয়েরা তথা খালাতো বোনেরা আপনার জন্য গায়রে মাহরাম।
(০৪)
আপনার মামার বউ তথা মামী আপনার জন্য গায়রে মাহরাম।
(০৫)
আপনার ফুফুর মেয়েরা তথা আপনার ফুফাতো বোনেরা আপনার জন্য গায়রে মাহরাম।
(০৬)
আপনার ফুফুর মেয়ের কন্যা সন্তান আপনার জন্য গায়রে মাহরাম।
আপনার ফুফাতো বোনদের হওয়া সন্তানেরা আপনার জন্য গায়রে মাহরাম।