এয়ারপোর্টে লাউঞ্জে খাওয়া যাবে কি?

Question

আসসালামু আলাইকুম হজরত,

একটা বিষয় জানার ছিল। মুহতারামের নিকট প্রশ্ন হচ্ছে, এয়ারপোর্টে কিছু ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু কার্ডধারীগণ উক্ত ব্যাংকের লাউঞ্জে ফ্রিতে খেতে পারে। এটা কি হালাল হবে নাকি হারাম? যদি ডেবিট কার্ড দিয়েও ব্যবহার করা যায়, তখন হুকুম হবে?

Answer 1

জবাবঃ-

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم

এয়ারপোর্টে কিছু ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু কার্ডধারীগণ উক্ত ব্যাংকের লাউঞ্জে ফ্রিতে যে খেতে পারে,এটা সূদ খাওয়ার নামান্তর।

আর সূদ খাওয়া যেহেতু জায়েজ নেই,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ব্যাংকের লাউঞ্জে ফ্রিতে খাওয়া জায়েজ হবেনা।

হ্যাঁ যদি হালাল টাকা তাহা কার্ড থেকে দেয়া হোক বা ক্যাশ থেকে দেয়া হোক,হালাল টাকা দিয়ে ব্যাক্তি নিজেই খাবার ক্রয় করে খায়,সেক্ষেত্রে তাহা জায়েজ হবে। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن  كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع 

যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়,যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল,তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে,দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না।আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২)

Comments

আসলে বিষয়টি জানা ছিল না, তাই সেখান থেকে সুবিধা নিয়েছিলাম। এখন এ থেকে তওবা বা কাফফারা আদায় কিভাবে করা যায় একটু জানালে ভালো হতো। 

---

যেই পরিমান খাবার খেয়েছেন,আনুমানিক হিসেব কষে ঐ পরিমান খাবারের টাকা গরিব মিসকিনকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবেন।

আর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।