আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (8 points)
কেউ যদি কাউকে পরিবারসহ বিয়ে বা ওয়ালিমা তে দাওয়াত দেয় এবং সেই ব্যক্তি যদি তার পরিবার ছাড়া অন্য কাউকে সাথে নিয়ে যায় অথবা পরিবারের সাথে যদি অন্য কাউকে নিয়ে যায়,

তাহলে কি তার জন্য দাওয়াত খাওয়া জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (57,120 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

বিনা দাওয়াতে বিয়ে বা কোন অনুষ্ঠানে খাওয়া সম্পূর্ণ হারাম। কারণ ইসলামে স্পষ্ট বলা হয়েছে, শুধু দাওয়াত দিলেই একজন ব্যক্তি আরেকজন ব্যক্তির অনুষ্ঠানে যেতে পারবে।

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:

যে ব্যক্তি দাওয়াত ছাড়াই (কোনো অনুষ্ঠানে) উপস্থিত হলো,সে যেন চোর হয়ে আসল আর ডাকাত বনে চলে গেল।” [সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৪১]

عن ابى مسعود البدرى رضى الله عنه قال: دعا رجل النبى صلى الله عليه وسلم لطعام صنعه له خامس خمسة، فتبعهم رجل، فلما بلغ الباب قال النبى صلى الله عليه وسلم إن هذا تبعنا فان شئت ان تأذن وإن شئت رجع، قال : بل أذن له يا رسول الله

হজরত আবু মাসউদ বদরী (রা.) বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দাওয়াত দিয়েছিল। তাঁর সঙ্গে আরো চার জন ছিল। ওই যামানায় কোনো লৌকিকতা ছিল না বিধায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক সময় নিজের সঙ্গে আরো দু’একজন নিয়ে নিতেন। এখানে লোকটি দাওয়াত দিয়েছিল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসহ মোট পাঁচজনকে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দাওয়াত খাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলেন, পথিমধ্যে আরেকজন যোগ হয়ে গেল। আজকাল যেমনিভাবে কোনো বুযুর্গকে দাওয়াত দেয়া হলে সঙ্গে আরো দু’একজন আসেন। যখন তিনি মেজবানের বাড়িতে পৌঁছলেন, মেজবানকে উদ্দেশ্য করে বললেন, এ ভদ্রলোক আমাদের সঙ্গে চলে এসেছে। তুমি চাইলে তাকে মেহমান হওয়ার অনুমতি দিতে পার। অন্যথায় সে ফেরত চলে যাবে। মেজবান বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তাকে ভেতরে আসার অনুমতি দিলাম।’ (বুখারী, হাদীস নং- ১৯৩৯, মুসলিম, হাদীস নং- ৩৭৯৭)

মেজবানের হক হলো, মেহমান হতে চাইলে মেজবানকে আগেই জানিয়ে দেবে। কমপক্ষে এমন সময় হতে হবে, যেন খানা-পিনার ব্যবস্থা করতে অসুবিধা না হয়। ঠিক খানার মুহুর্তে উপস্থিত হলে মেজবান তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খাবেন। সুতরাং অসময়ে মেহমান হওয়া উচিত নয়। এটা মেহমানের ওপর মেজবানের হক।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

কারো বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে যদি আপনার সঙ্গে এমন ব্যক্তিও যায়, যার দাওয়াত নেই, তাহলে প্রথমে মেজবানের অনুমতি নিয়ে নেবে, তারপর দাওয়াত খাবে। মেজবানের অনুমতি ছাড়া অন্য কাউকে সাথে নিয়ে যাওয়া জায়েয নেই। আপনার পরিবারের যাদেরকে দাওয়াত করা হয়েছে তারা আপনার সাথে যেতে পারবে কিন্তু তাদের পরিবর্তে অন্য কাউকে সাথে নিয়ে গেলে মেজবানের অনুমতি আবশ্যক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...