আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
96 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (40 points)
edited by
১.কেউ যদি বলে কুরআন স্বীকার করালাম মেনে নিলাম। তাহলে কি কুফুরি কথা আছে তা স্বীকার করা হয়?

২.কোনো খারাপ কাজের জন্য কাউকে ভালোবাসলে কি শিরক বা কুফুরি হবে?

৩.কোনো কাজে যদি মানুষের শারিরীক ক্ষতি হয় তবে কি তা হালাল হবে?

৪.আর তা যদি হারাম হয় তবে বিদ্যুৎ উৎপাদানে যদি পরিবেশের ক্ষতি হয় আর তা থেকে যদি মানুষের শরীর ক্ষতি হয় তবে কি বিদ্যুৎ উৎপাদন কি হালাল হবে?

৫.একই বর্তমানে ৫g 4g নেটওয়ার্ক কারেণে যদি  মানুষের শারিরীক ক্ষতি হবে কি তা ব্যবহার হালাল হবে?

৬.কারো যদি নামাজে মধো প্রশ্ন জাগে কোন ওয়াক্তের নামাজ পরছি আর তা বিনা চিন্তায় মনে না পরলে কি নামাজ ভাঙ্গে?

৭কারো যদি নামাজে মধো প্রশ্ন জাগে কোন ওয়াক্তের নামাজ পরছি আর তা প্রথম বারের মনে না  পরলে কি নামাজ ভাঙ্গে?

৮.শুনেছি পাপ করলে নাকি তাকওয়া ভাঙ্গে? এর মানে কি তার মধো তাকওয়া একদাম থাকে না।আর যদি একদম না থাকে তাহলে তাহলে তো কুফুরি হওয়ার কথা না?কারণ যার মধো আল্লাহর ভয় নাই সে তো কাফির?

৯.কেউ যদি পাপ কারার পর ও বলে তার মধো তাকওয়া আছে তা কি সঠিক?

১০.আল্লহর প্রতি কি আবেগ থাকতে হবে? আর তা না থাকলে কি ঈমান থাকবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
এতে কুফরিকে স্বীকার করা হয়না।

(০২)
https://ifatwa.info/16411/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
সুরা বাকারার ১৬৫ নং আয়াতে যাকে ইবাদত করা হয় (উদাহরণ স্বরুপ মূর্তি) উদ্দেশ্য।
কোনো প্রেমিক প্রেমিকা এখানে উদ্দেশ্য নয়।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّتَّخِذُ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اَنۡدَادًا یُّحِبُّوۡنَہُمۡ کَحُبِّ اللّٰہِ ؕ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰہِ ؕوَ لَوۡ یَرَی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡۤا اِذۡ یَرَوۡنَ الۡعَذَابَ ۙ اَنَّ الۡقُوَّۃَ لِلّٰہِ جَمِیۡعًا ۙ وَّ اَنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعَذَابِ ﴿۱۶۵﴾

আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তারা তাদেরকে ভালবাসে আল্লাহ্র ভালবাসার মতই পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকে সর্বাধিক ভালবাসে । আর যারা যুলুম করেছে যদি তারা আযাব দেখতে পেত, (তবে তারা নিশ্চিত হত যে,) সমস্ত শক্তি আল্লাহরই। আর নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর।

অর্থাৎ কাফেররা আল্লাহকে যেমন ভালবাসে তাদের (মিথ্যা) মা’বুদদেরও তেমন ভালবাসে। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আল্লাহ তা'আলার ভালবাসা কাফেরদের মনেও ছিল, কিন্তু তা ছিল শির্কযুক্ত। একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্য নয়।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বুঝা গেলো যে অবৈধ প্রেম হারাম হলেও তাহা শিরক নয়। 
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মত হলোঃ   
হারাম-প্রেম অনেক সময় বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়। কারণ অনেক সময় তারা একে অপরকে এতটাই ভালবাসা শুরু করে দেয় যে প্রকার ভালবাসা পাওয়ার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ। 
,
সুতরাং এটি যেহেতু বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়,তাই যেকোনো ভাবেই হোক,দ্রুত এর থেকে হেফাজত থাকতে হবে। 

(০৩)
সে কাজটি করার অনুমতি তার থাকেনা।
তবে হালাল কাজটি বিধান গত দিক থেকে হারাম হবেনা।

(০৪)
বিদ্যুৎ উৎপাদন জায়েজ হবে।

(০৫)
যার জন্য ক্ষতি হবে,তার জন্য ব্যবহারের অনুমতি নেই।
তবে ঢালাওভাবে ব্যবহারকেই হারাম বলা যাবেনা।

(৬-৭)
নামাজের শুরুতে মনে মনে নিয়ত করার ক্ষেত্রে নিয়তটি ঠিক থাকলে তার নামাজের সমস্যা হবেনা।

(০৮)
গুনাহ করার পর অনুশোচনা আসা, তওবা না করলে মন অস্থির হওয়া সবই তাকওয়ার পরিচায়ক। 
সুতরাং পাপ করলে একেবারেই তাকওয়া থাকেনা,এটি বলার সুযোগ নেই।

(০৯)
গুনাহ করার পর সেই ব্যাক্তির মধে অনুশোচনা আসলে, তওবা না করলে তার মন অস্থির হলে বুঝা যাবে যে তার দাবী ঠিক।

(১০)
আল্লাহর ভয় ও মুহাব্বত অন্তুরে বসাতে হবে।
আবেগ চলে আসতেই পারে।

তবে আবেগ না থাকলে ঈমান থাকবেনা,এমন কথা বলা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...