আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
338 views
in পবিত্রতা (Purity) by (47 points)
শাইখ, আমার ব্লিডিং তো একদিন, দুইদিন বন্ধ থেকে থেকে হয়েছে। নিচে তারিখ সহই দিয়েছি।

এরকম হলেও কি আপনি যেভাবে বললেন সেভাবে হিসাব করব শাইখ? ওইযে ১০, ১৫ এর হিসাব এভাবেই করব?

২য় নেফাসের তারিখের হিসাবঃ
[[//২য় নেফাস শেষ, ৭ই আগস্ট(২০২২ সাল) যোহর থেকে আলহামদুলিল্লাহ। ৩ দিন অফ থেকে আবার ব্লিডিং হয়। মাঝে মাঝে হয়। লাস্ট হয়ত ব্লিডিং হয় শুক্রবারে (১২/ ০৮/২২),( ২১/০৮/২২), (২৪/০৮/২২), (28/08/22), (30/08/22), (৩/০৯/২২--যো,আ), (06, 09, 22),( 07,09, 22), এরপর পর পর হয়ে কন্টিনিউ ডিপ ব্লিডিং হয়।

৯ তারিখ রাত থেকে জ্যামিক+ মেনসিল খাওয়া শুরু করি আলহামদুলিল্লাহ। ১০ তারিখ সকালে প্যাডে আর ব্লাডের চিন্হ দেখিনি। ১১ তারিখ ফজরের পরে ব্লাডের চিহ্ন দেখেছিলাম। এর পর ব্লিডিং হয়েছে ২৪ তারিখ মাগরিবের আগে।//]]

শাইখ, আমার ব্লিডিং তো এভাবে বন্ধ থেকে থেকে হয়েছে। উপরে তারিখ দিয়েছি। এখন আপনি যেভাবে বলেছেন, ওইভাবে হিসাব করলে চলতি মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ইস্তিহাজার হিসাব আসে। কিন্তু ১১ তারিখ সকালেই আমার ব্লিডিং অফ হয়ে যায়। তাহলে তো ২৪ তারিখ মাগরিবের আগের আমার ব্লিডিং টাই তো হায়েজ হিসেবেই ধর্তব্য হচ্ছে তাইনা? [যদিও আমি সালাত কন্টিনিউ করেছি আলহামদুলিল্লাহ ]

শাইখ, আমার হিসাবটা কি ঠিক আছে?

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
,
★ উভয় হায়েজের মাঝে কমপক্ষে পনেরো দিন পবিত্রতা ধরতে হবে।
হায়েজ শেষ হওয়ার পরদিন থেকে পনেরো দিন গণনা করা হবে।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটাকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরতে হবে।
নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।

পনেরো দিন থেকে বেশি পবিত্রতা হলে তো হায়েজের দিন গুলো চিনতে কোনো  সমস্যাই নেই।
,
আরো জানুনঃ   

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ২৪ তারিখ মাগরিবের আগের আমার ব্লিডিং টা হায়েজ হিসেবে ধর্তব্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...