আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (91 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,  মুফতি সাহেব

১ আমার এক হিন্দু সহপাঠীর কাধ পর্যন্ত চুল আছে। এটায় আজকে হাত দিয়ে বলেছিলাম ওর চুল গুলো হাত দিলে ঘোড়ার লেজের মতো লাগে। এর পর অন্য বন্ধুকে এইরকম এইধরনের চুল  নিয়ে কিছু একটা  বলতে যাবো  তখনই মনে হলো এইরকম বাবরি চুল তো সুন্নত। তখন কথা ঘুরিয়ে ওকে বলি যে," ছেলেদের যতোই এরকম চুল রাখুক মেয়েদের মতো হয় না"। আমার মাথায় প্রথমে ছিলোই না যে বাবরী চুল সুন্নত পরে মনে পরেছে।

আমার এই কাজে কি সুন্নতের অপমান হয়েছে? বা কুফর হয়েছে?

২.আরেকটা বিষয় হলো সুন্নত/ফরজ এইগুলো নিয়ে মজা বা খারাপ মন্তব্য  করেই ফেলি, তার পরে যদি মনে হয় যে এইটা সুন্নত/ফরজ ছিলো  আমি এটা কি করলাম! পরে যদি তওবা করি তবে কি কুফর হবে?

৩.এমন কোনো বই বা মূলনীতি সমগ্র কি আছে?যা পড়লে আমরা নিজেই এই ধরনের মাসআলা গুলোর সমাধান নিজে করতে পারবো, প্রতিদিন হাজারো সিচুয়েশনেই মনে হয় এই বুঝি কুফরি হয়ে গেলো। আমি চাই না আপনাদের এই বিষয়ে বারবার প্রশ্ন করতে।

৪. বিবাহিত দুজন। তারা এখানো একসাথে থাকা শুরু করে নি। সংসার শুরু হলে কি কি করবে ভেবে, তারা যদি বলে "আমাদের বিয়ের পর এটা করবো ওইটা করবো"  বা অনুষ্ঠান বুঝানোর জন্য "অফিশিয়াল বিয়ের পর এটা ওটা করবো, বললে কি সমস্যা হবে?

৫.আমার প্রায়ই দেখা যায়,  "একটা বিষয় পরিষ্কার ভাবে হারাম বুঝি,  মন ও বুঝে এটা হারাম তাও মনে মনে হারাম বলতে চায় না।এই ভয়ে যে  এটা যদি কোনো ভাবে হালাল হয় তো আমার ইমানে সমস্যা হবে। আমি এক্ষেত্রে কি করবো? এই কাজ হারাম বুঝতেছি,  মানতেছি তাও মাঝেমধ্যে মনে মনে কোনো জিনিস সরাসরি হারাম/হালাল বলতে বাধে। ভয় হয় ইমানে সমস্যা হয় কি না। আমার এই পরিস্থিতির জন্য কি ইমানে সমস্যা হবে?

৬. মনে মনে কুফরি চিন্তা আসলে তা কথায় বা কাজে প্রকাশ করা পযন্ত কেও কাফের হয় না।এমনটা জানি।  এখন কেও যদি,  তার বলা মনে মনে কোনো কুফরী ভাবনা/কথা কোনো মুফতিকে বলে যে আমি এমন কুফরি কথা মুখে বলেছিলাম
বা ভেবেছিলাম। এইক্ষেত্রে কি তার কুফরি প্রকাশ পাওয়ায় তাকে কাফের বলা যায়?

 জাজাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।

তবে না বুঝে সুন্নাতের অপমান করায় খালেস দিলে তওবা করতে হবে।

(০২)
না জেনে এমন মন্তব্য করায় ঈমাম যাবেনা।

তবে খালেস দিলে তওবা করতে হবে।

(০৩)
আপনি জেনে শুনে শরীয়তের কোনো বিষয় নিয়ে ঠাট্রা না করলেই কোনো সমস্যা হবেনা।
আপনি "ইসলামি আকীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ" "কিতাবুল ঈমান" গ্রন্থ পড়তে পারেন।

(০৪)
না,এতে সমস্যা হবেনা।

(০৫)
আপনার এই পরিস্থিতির জন্য ইমানের সমস্যা হবেনা।

হারাম কাজ জানার পরেও মনে এহেন ভাবনা কোনো ভাবেই আর নিয়ে আসবেননা।

কেননা বিষয়টি মারাত্মক। 

(০৬)
মাসয়ালা জানার জন্য কোনো মুফতী সাহেবকে বললে কুফরি হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...