(০১)
এতে সেই ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।
তবে জেনে শুনে তওবা করতে দেড়ি করার দরুন এটি তার জন্য মারাত্মক গুনাহ হবে
(০২)
সে যদি ঠাট্রা মূলক নেয়,বা ঠাট্রামূলক কিছু করে,সেক্ষেত্রে আপনি তাকে দিবেননা।
সে ঠাট্রা করবে,এটি জেনে শুনে আপনি যদি তাকে টুপি দেয়া হতে বাধা না দেন,তাহলে আপনিও গুনাহগার হবেন।
তবে আপনি বাধা দেয়ার পরেও সে যদি জোড়পূর্বক নেয়,তাহলে আশা করা যায়,আপনার গুনাহ হবেনা।
আর যদি সে ঠাট্রামূলক কিছু না করে,এমনিতেই নেয়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
(০৩)
আপনি তার মোবাইল জোড় করে চেক করবেননা।
শুধু তওবা করে নিবেন।
(০৪)
এতে নামাজ নামক ফরজ বিধান নিয়ে হাসি করা হবেনা।
এতে তার ঈমান চলে যাবেনা।
(০৫)
যদি কোন কিরাআত পড়েছেন,সেটি নিয়ে সন্দেহ হয়,তাহলে সন্দেহকে পাত্তা দেয়ার দরকার নেই।
আপনি এইভাবেই নামাজ চালিয়ে যাবেন।
তবে রুকু করেছেন কিনা? সেজদাহ কয়টি করেছেন? এ সংক্রান্ত সন্দেহ হলে এর বিধান বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৬)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এমন ভাবে নামাজ পড়তে হবে যেনো আমি আল্লাহ তায়ালার সামনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছি। আর আল্লাহ তায়ালা নামাজ পড়া দেখছেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
قَالَ مَا الإِحْسَانُ قَالَ " أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ".
‘আল্লাহর ইবাদত করো এমনভাবে যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫০; মুসলিম, হাদিস : ৮)
অন্য এক হাদীসে এসেছে-
ثُمَّ قَالَ مَنْ تَوَضَّأَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ نَفْسَهُ فِيهِمَا بِشَيْءٍ إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে সুন্দরভাবে অজু করে, অতঃপর মন ও শরীর একত্র করে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে (অন্য বর্ণনায় এসেছে যে নামাজে ওয়াসওয়াসা স্থান পায় না) তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়)। ’ (নাসাঈ, হাদিস : ১৫১; বুখারি, হাদিস : ১৯৩৪)
★কিরাআত, তাসবিহ,তাকবির,তাশাহুদ,দরুদ ইত্যাদি পড়ার সময় নিজের কানে আসে,এমন আওয়াজে জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করুন।
নামাজে ‘হুজুরে দিল’ বা একাগ্র থাকা; এটি নামাজের প্রাণ। এমনভাবে নামাজ পড়তে হবে যেন আল্লাহ আমাকে দেখছেন।
নামাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই কল্পনা ধরে রাখার অনুশীলন করুন যে ‘আল্লাহ আমাকে দেখছেন’। এভাবে অনুশীলনের মাধ্যমে নামাজ শেষ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন।
নামাজে যা কিছু পাঠ করা হয়, তা বিশুদ্ধ উচ্চারণে পড়ার চেষ্টা করুন। এটি অন্তরের উপস্থিতিকে আরো দৃঢ় করে।
নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করুন। ভাবুন, এই নামাজই হয়তো বা আপনার জীবনের শেষ নামাজ।
বিস্তারিত জানুনঃ-