জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِي رَافِعٍ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ اسْتَسْلَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَكْرًا فَجَاءَتْهُ إِبِلٌ مِنَ الصَّدَقَةِ . قَالَ أَبُو رَافِعٍ فَأَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَقْضِيَ الرَّجُلَ بَكْرَهُ . فَقُلْتُ لاَ أَجِدُ فِي الإِبِلِ إِلاَّ جَمَلاً خِيَارًا رَبَاعِيًّا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَعْطِهِ إِيَّاهُ فَإِنَّ خِيَارَ النَّاسِ أَحْسَنُهُمْ قَضَاءً "
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আযাদকৃত দাস আবূ রাফি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার একটি উট ঋণ নিয়েছিলেন। অনন্তর তাঁর হাতে সাদাকার কিছু উট আসে। আবূ রাফি’ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে ব্যাক্তির জওয়ান উটটি আদায় করে দিতে নির্দেশ দিলেন। আমি বললাম, এ গুলির মাঝে ছয় বছর বয়সী পছন্দনীয় উট ছাড়া তাকে আদায় করার মত আর কোন উট তো পাচ্ছি না। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তা-ই তাকে দিয়ে দাও। কেননা, সর্বোত্তম ব্যক্তি হলো সেই ব্যক্তি যে ব্যক্তি পরিশোধের ব্যাপারে উত্তম।
(মুসলিম ১৬০০, তিরমিযী ১৩১৮, নাসায়ী ৪৬১৭, আবূ দাউদ ৩৩৪৬, ইবনু মাজাহ ২২৮৫, আহমাদ ২৬৬৪০, মুওয়াত্তা মালেক ১৩৮৪, দারেমী ২৫৬৫।)
[আল মাদানী প্রকাশনী]
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنِي عُتْبَةُ بْنُ حُمَيْدٍ الضَّبِّيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ الْهُنَائِيِّ، قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ الرَّجُلُ مِنَّا يُقْرِضُ أَخَاهُ الْمَالَ فَيُهْدِي لَهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَقْرَضَ أَحَدُكُمْ قَرْضًا فَأَهْدَى لَهُ أَوْ حَمَلَهُ عَلَى الدَّابَّةِ فَلاَ يَرْكَبْهَا وَلاَ يَقْبَلْهُ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ جَرَى بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ قَبْلَ ذَلِكَ " .
ইহয়াহইয়া ইবনে আবূ ইসহাক আল-হানাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, আমাদের মধ্যে কেউ তার ভাইক মাল করয দেয়, অতঃপর করযদার তাকে উপঢৌকন দেয়। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন জিনিস করয দেয়ার পর করযদার তাকে কিছু উপঢৌকন দিলে বা তার সওয়ারীতে আরোহণ করাতে চাইলে সে যেন তাতে আরোহণ না করে এবং উপঢৌকন গ্রহণ না করে। তবে তাদের মধ্যে আগে থেকেই এরূপ সৌজন্যমূলক বিনিময়ের প্রচলন থাকলে আপত্তি নেই।
(ইবনে মাজাহ ২৪৩২.ইরওয়া ১৪০০, মিশকাত ২৮৩১।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ঋন পরিশোধের সময় উত্তম জিনিস দ্বারা পরিশোধ করা সুন্নাত।
যেমন টাকার ক্ষেত্রে নতুন টাকা তথা ভালো টাকায় পরিশোধ করা সুন্নাত।
তবে এক্ষেত্রে টাকা বেশি দেয়া সুন্নাত নয়,বরং এটি সূদ।
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলারগন বলেছেন যে কোনো এলাকায় যদি এভাবে সূদের প্রচলন না থাকে,সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাওয়া ছাড়াই এবং অতিরিক্তের আগ্রহ থাকা ছাড়াই যদি নিজ থেকে করজ গ্রহিতা বাড়িয়ে দেয়,তাহলে সেটি হাদিয়া হিসেবে নেয়া যাবে।
,
কিন্তু আমাদের সমাজে যেহেতু ঋন পরিশোধের ক্ষেত্রে সূদ গ্রহনের ব্যাপক প্রচলন রয়েছে,সুতরাং আমাদের সমাজে এটি সূদই হবে।
জায়েজ হবেনা।
,
হ্যাঁ যদি তাদের (ঐ ২ ব্যাক্তির) মাঝে আগে থেকেই হাদিয়া আদান প্রদান চালু থেকে থাকে,তাহলে এখন চাওয়া ছাড়া হাদিয়া হিসেবে দিলে তাহা হাদিয়া বলে গন্য হবে।
★উল্লেখ্য যে ঋন দেয়ার পর আদায়ের সময় ঋনদাতা যদি সন্তুষ্টি চিত্তে কিছু টাকা কম নেয় বা একেবারেই মাফ করে দেয়,তাহলে এতে কোনো সমস্যা নেই।
এতে বিশেষ ছওয়াব পাওয়া যাবে।
(০২)
হ্যাঁ, এটি জায়েজ আছে।
সমস্যা নেই।
(০৩)
বিজাতীয় দের সাথে সাদৃশ্যতা হলে এটি জায়েজ হবেনা।