ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَ
مَنۡ یَّرۡتَدِدۡ مِنۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِهٖ فَیَمُتۡ وَ هُوَ کَافِرٌ فَاُولٰٓئِکَ
حَبِطَتۡ اَعۡمَالُهُمۡ فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ ۚ وَ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ
النَّارِ ۚ هُمۡ فِیۡهَا خٰلِدُوۡنَ
আর যে তোমাদের মধ্য
থেকে তাঁর দীন থেকে ফিরে যাবে, অতঃপর কাফির
অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে, বস্তুত এদের আমলসমূহ দুনিয়া ও
আখিরাতে বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং তারাই আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে। সূরা
বাকারা, আয়াত নং-২১৭
যে দ্বীন ইসলাম থেকে ফিরে যাবে, অর্থাৎ মুরতাদ
হয়ে যাবে, (তওবা না করলে) তার পার্থিব শাস্তি হল হত্যা। হাদীসে আছে, ‘‘যে তার দ্বীন পরিবর্তন করে ফেলেছে, তাকে হত্যা করে দাও।’’ (বুখারী ৩০১৭নং)
আর আয়াতে তার পারলৌকিক শাস্তির কথা বলা হচ্ছে। এ থেকে
পরিষ্কার হয়ে যায় যে, ঈমান থাকা অবস্থায় কৃত নেক আমলসমূহও কুফরী করা ও দ্বীন থেকে
বিমুখ হওয়ার কারণে মূল্যহীন হয়ে যায় এবং যেভাবে ঈমান আনার পর মানুষের বিগত পাপ
মার্জিত হয়ে যায়, অনুরূপ কুফরী করা ও মুরতাদ হয়ে যাওয়ার কারণে সমস্ত নেকী
বরবাদ হয়ে যায়। তবে কুরআনের বাগধারা থেকে ফুটে উঠে যে, তার আমল
বরবাদ তখনই হবে, যখন তার মৃত্যু হবে কুফরীর উপরে। পক্ষান্তরে যদি সে মৃত্যুর
পূর্বে তাওবা করে নেয়, তাহলে এ রকম হবে না। অর্থাৎ, মুর্তাদ্দের তওবা
গৃহীত হয়। (তাফসীরে আহসানুল বায়ান) (কপি)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মুরতাদ
হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ কেউ যদি মুরতাদ হয়ে যায় তাহলে তার ঈমান থাকবে না। বরং সে কাফের
হয়ে যাবে।
২. না, প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে তার ঈমান চলে যাবে না। তবে দ্বীনী ইলম না শেখার কারণে সে গোনাহগার হবে।