আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in পবিত্রতা (Purity) by (15 points)
recategorized by
আসসালামু আলাইকুম।
শায়েখ,

(১) বাচ্চাকে কতদিন দুধ খায়ানো যাবে??

(২) খাটের চাদরের উপর বাচ্চা পেসাব করলে যদি শুকিয়ে যায় তাহলে কি সেই চাদরের উপর শোয়া যাবে?

(৩) বাচ্চাকে কত বছর পর থেকো হিজাব পরানো উচিত?

---------------------------------------------------------------------------------

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
বাচ্ছাকে আড়াই বৎসর পর্যন্ত দুধ পান করানো যাবে।


(২)
খাটের চাদরের উপর বাচ্চা পেসাব করলে যদি শুকিয়ে যায় তাহলে সেই চাদরের উপর শোয়া নিষেধ নয়।তবে যেহেতু ঘেমে গিয়ে শরীর বা কাপড় নাপাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, তাই নাপাক শুকনো কাপড়ের উপর শয়ন না করাই উত্তম।


(৩)
মেয়ে সন্তান যখন সাবালক হবে, তখন থেকেই পর্দা করতে হবে-----★5
বালেগ হওয়ার কয়েকটি আলামত 5 এর আগেও শারিরিক উন্নতি হয়ে বালিগ হতে পারে।ছেলেদের বালেগ হওয়ার আলামত,স্বপ্নদোষ হওয়া।আর মেয়েদের বালিগ হওয়ার আলামত,হায়েয শুরু হওয়া।এ আলামত গুলো যখনই পাওয়া যাবে তখনই বালেগ হিসেবে গণ্য করা হবে।

قال أبو حنيفة: مدة البلوغ بالسن في الغلام ثماني عشرة سنة، وفي الجارية سبع عشرة سنة.
وقال أبو يوسف، ومحمد: في الغلام والجارية خمس عشرة سنة
েইমাম আবু-হানিফা রাহ বলেন, ছেলে ১৮ বছরের সময় বালিগ হয়। আর মেয়ে ১৭ বছরের সময় বালিগ হয়। আর ইমাম আবু- ইউসুফ রাহ বলেন, ছেলে মেয়ে উভয়-ই ১৫ বছরের সময় বালিগ হয়। 
(৭১৭ নং মাসআলা,কুদুরী)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...